নয়াদিল্লি: এবার ৫০ লক্ষ জিয়ো ফোনে ব্লুটুথ কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপের নয়া ভার্সান চালু করা হল৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে৷ দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হদিশ পেতে কনট্যাক্ট ট্রেসিং আরোগ্য সেতু অ্যাপলিকেশন এনেছে কেন্দ্র। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জিয়ো ফোনে এই পরিষেবা চালু হবে বলেও জানানো হয়েছিল৷ সেই মতোই করোনা মোকাবিলায় এবার জিয়ো ফোনে এল এই অ্যাপ৷
করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘ লকডাউনের সাক্ষী থেকেছে ভারত৷ করোনা সনাক্তকরণে গত মাসে আরোগ্য সেতু অ্যাপ চালু করে কেন্দ্র৷ দেশবাসীকে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপ ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করতে হবে। কিন্তু এই অ্যাপ নিয়ে অনেক প্রশ্ন ওঠার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এমপাওয়ারড গ্রুপ ৯-এর চেয়ারম্যান অজয় সাহনি জানিয়েছিলেন, “ভারতে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই এই সংক্রমণের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপ আনা হয়েছে। কেউ যদি এই অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করেন, তাহলে তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা, তা বোঝা যাবে৷ সরকারও জানতে পারবে কারও মধ্যে করোনা উপসর্গ রয়েছে কিনা। যদি উপসর্গ থাকে তাহলে তাঁর পরীক্ষা করে দেখা হবে।”
এটি একটি ব্লুটুথ এবং জিপিএস ভিত্তিক অ্যাপলিকেশন৷ কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে, তাঁকে সচেতন করবে এই অ্যাপ৷ ইতিমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ভারতবাসী তাঁদের ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন৷ এতদিন এই অ্যাপ গুগলের অ্যানড্রয়েড এবং অ্যাপেল ডিভাইসে উপলব্ধ ছিল৷
আরোগ্য সেতু অ্যাপের সুরক্ষা নিয়ে অবশ্য নানা প্রশ্ন উঠেছে। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য থাকায় তার ভুল ব্যবহার হবে কিনা, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে কেন্দ্রের আশ্বাস, এই অ্যাপ অত্যন্ত সুরক্ষিত। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের নাম নয়, একটা ডিভাইস নম্বরের মাধ্যমে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়। ফলে কেউ কারও নাম জানতে পারেন না। এই অ্যাপে আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রমণের আগের ১৫ দিন কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন সেই তথ্য নেওয়া হয়। সেটা অন্যদের সতর্ক করার জন্য। শুধুমাত্র আক্রান্তদের তথ্যই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে থাকে। বাকিদের তথ্য তাঁদের ফোনেই থাকে। এমনকী আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠার ৬০ দিন পরে নিজে থেকে সেই তথ্যও মুছে যায়।