করোনা সংক্রমণে সব থেকে ঝুঁকির দেশ ভারত, বলছে গবেষণা

করোনা সংক্রমণে সব থেকে ঝুঁকির দেশ ভারত, বলছে গবেষণা

কলকাতা:  করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়তে পারে এমন ২০টি দেশের তালিকায় ১৭ তম স্থানে আছে ভারত। সম্প্রতি জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আকাশপথের চীনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ আছে এমন দেশগুলির ওপর পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি পর্যালোচনার মাধ্যমে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে জার্মানির ওই বিশ্ববিদ্যালয়। হিসেব অনুযায়ী মোট ৪ হাজার বিমানবন্দরের সঙ্গে চীনের সরাসরি যোগাযোগ আছে। এই পর্যালোচনায় ভারতে করোনা ভাইরাসের ০.২১৯ শতাংশ সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এই তালিকায় ভারতের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ২য় স্থানে রয়েছে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখানে সংক্রমণ সূচক ০.০৩৪ শতাংশ। এর পরেই আছে কলকাতা বিমানবন্দর। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরেও আছে সংক্রমণের আশঙ্কা। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল চীনের উহান শহরে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক জাপানি নাগরিকের। শনিবার জাপানের বিদেশ মন্ত্রক টোকিওতে একটি বিবৃতিতে ওই নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রকের দাবি, বছর ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন উহানের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর দেহে করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক দলকে শনিবারই চীনে পাঠানোর অনুরোধ পাঠিয়েছে বেইজিং বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান। আগামী  সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যেই সংস্থার বাকি সদস্যরা চীনে যাবেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সরকারি বিমানসংস্থা 'বিমান' উহান থেকে ৩১২ জন নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে এনেছে।  সেই তালিকায় ১২ জন শিশু ও ৩ জন সদ্যোজাত রয়েছে। শনিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর ওই  চীনফেরত নাগরিকদের আগামী দু'সপ্তাহ বিশেষ সরকারি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। জানা গেছে, এই ১৪ দিনের মধ্যেই তাদের দেহে করোনা-র উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত করা যাবে। 

বিমানবন্দরের অনতিদূরে সরকারি তরফে অশকনা হজ ক্যাম্পে এই ৩১২জন নাগরিকের জন্য পৃথক শিবিরও তৈরি করা হয়েছে।  সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরাই বিশেষ পথে ওই ৩১২ জনকে হজ ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়েছেন। এমনকি বিমান সংস্থার যে বোইং-৭৭৭-৩০০ আর আর বিমান উহান গেছিল, সেই বিমানেও ছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি দল। ছিলেন প্রায় ১৫ জন বিমানকর্মী। ওই বিমান সংস্থার মুখপাত্র তাহেরা খন্দকারের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *