নয়াদিল্লি: সাত দশকের চুক্তি একদিনে চুরমার করে ‘ইতিহাস’ গড়েছে কেন্দ্র৷ জন্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার তুলে দেওয়ার পর থেকে আজও থমথমে উপত্যাকা৷ জারি কার্ফি, ১৪৪ ধারা৷ বন্ধ ইন্টারনেট৷ চাপা আতঙ্কের পরিস্থিতিতে এবার হস্তক্ষেপ আমেরিকার৷ নজর রাখছে রাষ্ট্রসংঘ৷
জন্মু কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যদা তুলে দেওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকি সম্পর্কে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের৷ এই পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন রাষ্ট্রসংঘের৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত আমেরিকা৷
মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে৷ মার্কিন স্বরাষ্ট্রবিভাগের মুখপাত্র মর্গান ওত্রাগাস জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে ভারত-পাকিস্তানকে অনুরোধ করছে আমেরিকা৷ একই সঙ্গে কাশ্মীরে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে, পাল্টা ভারত জানিয়েছে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ ফলে, এই বিষয়ে কোনও দেশ নাক গলাক তা চায় না ভারত৷ যদিও, সোমবারই ভারতের তরফে আমেরিকা থেকে শুরু করে ব্রিটেন, চিন থেকে ফ্রান্স ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতদের ডেকে ৩০৭ ধারার অবলুপ্তি ও কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভাগ করার বিষয়টি জনিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানের তরফে ইতিমধ্যেই ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছে৷ ভারতের সিদ্ধান্ত একতরফা ও অবৈধ বলেও দাবি করেছে পাক সরকার৷