নয়াদিল্লি: ভারতের করোনা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এবার উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে মঙ্গলবার। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘উদারীকরণ এবং ত্বরান্বিত’ ও ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে টিকাকরণের ঘোষণার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিল দেশের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসএসআই)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আগামী দুই মাসে সীমিত উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। উৎপাদনের ৫০ শতাংশ টিকা কেন্দ্রীয় সরকারের টিকাকরণ কর্মসূচিতে দেওয়া হবে, বাকি ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে।” টিকার উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো জন্য বাড়ানো হয়েছে মূল্যও।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী একটি বৈঠকে বসেন। সেখানেই প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি করতে বলা হয়। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসএসআই) জানিয়েছে, আগামী মে মাসের মধ্যে উৎপাদনে ব্যাপক বৃদ্ধি করা হবে। এসএসআই ও ভারত বায়োটেকের সূত্র অনুযায়ী, আগামী জুন মাসের মধ্যে ভারত প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করবে। বর্তমানে যা ৭০ মিলিয়নে আটকে রয়েছে। রাশিয়া থেকে করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক’ আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
মঙ্গলবার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশের পাশাপাশি কত দামে সেই টিকা খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে তা নিয়েও স্পষ্টভাবে জানানোর কথা বলেছিল ভারত সরকার। সেই অনুযায়ী বুধবার এসএসআই একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ কেনার জন্য রাজ্য সরকারকে খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। বেসরকারী হাসপাতালগুলি সেই টিকা পাবে ৬০০ টাকায়। তবে টিকা চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকায় প্রতি ডোজ টিকা দিচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। মঙ্গলবার ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ৭০০ ডোজ টিকা তৈরি করবে ভারতের সংস্থাগুলি যা ৬০টি দেশে রপ্তানি করা হবে। বিদেশের বাজারে ভারতীয় টিকার দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি ডোজ ১৫ থেকে ২০ ডলার।