নয়াদিল্লি: নেপালের নয়া মানচিত্রকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে৷ ভারতীয় ভূখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে ‘নেপালের অংশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের নয়া মানচিত্রে৷ নয়াদিল্লির তরফে উত্তরাখণ্ডের প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নেপালের মানচিত্রে জুড়ে দেওয়ার এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেও লাভ হয়নি৷ উত্তরাখণ্ডের এই সকল অঞ্চলে হামশাই ঢুকে পড়ছে নেপালি মানুষরা৷ এই বিষয়ে এবার নেপালকে সতর্ক করল নয়াদিল্লি৷ ভারতীয় ভূখণ্ডের কালাপানি, লিপুলেখ, গুঞ্জি এবং লিম্পিয়াধুরায় নেপালের নাগরিকদের ‘অবৈধ’ প্রবেশ বন্ধ করতে বলল ভারত৷
চলতি মাসের গোড়ায় নেপাল প্রশাসনের কাছে এই মর্মে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, নেপালের মানুষ ‘অবৈধভাবে’ ভারতীয় অঞ্চলে প্রবেশ করতে চাইলে তা উভয় দেশের জন্যই সমস্যা তৈরি করবে৷ উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার ডেপুটি জেলা কমিশনার অনিল শুক্লা গত ১৪ জুলাই লেখা ওই চিঠিতে এই ধরনের কার্যকলাপ রুখতে ভারতীয় প্রশাসনের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন৷ এর পরেই নেপালের দারচুলার চিফ ডিসট্রিক্ট অফিসার শরদ কুমার পোখরেল জানান, ‘‘আমরা একটি চিঠি ও ফোন কল পেয়েছি৷ এই সকল অঞ্চলে নেপালিদের প্রবেশের বিরুদ্ধে ভারত তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে৷’’ সেইসঙ্গে পোখরেল জানান, যদিও স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন উল্লিখিত অঞ্চলগুলিতে প্রবেশে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি তাঁদের৷
এদিকে ভারতের লেখা চিঠির জবাবে নেপাল কর্তৃপক্ষ জানায়, কালাপানি, লিপুলেখ, গুঞ্জ এবং লিম্পিয়াধুরায় নেপালি বাসিন্দাদের যাওয়া আসা করাটা ‘স্বাভাবিক’৷ কারণ এটি নেপালেরই অংশ৷ কান্তিপুর ডেইলির খবর অনুযায়ী, নেপাল থেকে আসা ওই চিঠিতে সাক্ষর রয়েছে দারচুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিসট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর টেক সিং কুনওয়ারের৷ নেপাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি৷ প্রসঙ্গত, ভারতের প্রায় ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নতুন মানচিত্রে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক নেপাল সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, কাঠমান্ডুর দাবির কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই৷