নিষিদ্ধ হতে পারে প্লাস্টিকের ব্যবহার! প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের!

নিষিদ্ধ হতে পারে প্লাস্টিকের ব্যবহার! প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের!

নয়াদিল্লি: প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে অনেক দিন নানা আলোচনা চলছে৷ এবার তা বন্ধ করার ব্যাপারে একধাপ এগোল কেন্দ্রীয় সরকার৷ আগামী এক বছরের মধ্যে ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও গোটা দেশের প্লাস্টিক উৎপাদক অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, এর ফলে প্রভাবিত হবে প্রায় এক মিলিয়ন কর্মসংস্থান। ২০২২ সালের মধ্যে বেশ কিছু ওয়ান টাইম প্লাস্টিক উৎপাদন, ব্যবহার, বিক্রি, রপ্তানি বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। এর জন্য ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তাব বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কীভাবে ধাপে ধাপে ব্যান করা হবে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক।

যেমন বলা যায়, ইয়ারবাড যেগুলোতে প্লাস্টিক থাকে, বেলুনে ব্যবহৃত প্লাস্টিক স্টিক,  প্লাস্টিকের ক্যান্ডি স্টিক, আইসক্রিম স্টিক, প্লাস্টিকের এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যা দিয়ে থার্মোকলের ওপর ডেকোরেশন করা হয়, সেগুলো ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ব্যবহার করা যাবে না। ধীরে ধীরে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক যেমন প্লাস্টিকের প্লেট, কাপ, গ্লাস, চামচ, ছুড়ি, মিষ্টির বাক্স, নিমন্ত্রণপত্র, সিগারেট প্যাকেট, প্লাস্টিকের পিভিসি ব্যানার এরকম বহু প্লাস্টিক ব্যবহৃত জিনিস, যেগুলো ১০০ মাইক্রোনের কম হবে, সেগুলোকে ১ জুলাই ২০২২ থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।

শুধু তাই নয় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হবে এবং তা বাস্তবায়িত হবে  ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে। প্লাস্টিক ব্যাগের ঘনত্ব ৫০ মাইক্রন থেকে ১২০ মাইক্রন করা হবে। গোটা দেশেই ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান চলছে এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য। এনার্জি অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মন্ত্রক রিপোর্টে ২০১৮ সালেই জানিয়েছে, আমাদের দেশে ব্যবহৃত প্রায় ৪৩ শতাংশ উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্য একবার মাত্র ব্যবহারের জন্য। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল সমীক্ষায় বলেছে, ভারতে প্রতি মাথা পিছু গড়ে ৯.৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার হয় এক বছরে। যাদের বেশির ভাগটাই প্যাকেট করার কাজে ব্যবহার হয়। প্রতিবছর আমাদের দেশে ৯.৪৬  মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় গোটা বছরে যার প্রায় ৪০ শতাংশই সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। অনেক দিন ধরেই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, প্লাস্টিকের ফলে হওয়া দূষণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে কড়া আইন লাগু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *