নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গোটা বিশ্ব জুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদা আকাশছোঁয়া। এদিকে দু'দিন আগেই রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়াও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এই ওষুধ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে সংবাদসংস্থা ইকনমিক টাইমস সূত্রের খবর, সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছে, গুরুত্ব অনুযায়ী ওই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে কেন্দ্র।
রবিবার ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এক বিশেষ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। সেখানে স্বাস্থ্যদফতরের তরফে এবং ফার্মাসিউটিকল বিভাগের তরফেও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যথেষ্ট স্টক রয়েছে তাঁদের কাছে। শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, 'এখনও পর্যন্ত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধের কোনও ঘাটতি নেই। তাছাড়া প্রয়োজন অনুসারে চাহিদা পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত উৎপাদনেরও সামর্থ্য রয়েছে আমাদের কাছে।'
অন্য এক আধিকারিকের কথায়, 'আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ভারতে যেন এর কোনও ঘাটতি না তৈরি হয়। এর পর জরুরি কারণের ভিত্তিতে বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাইরেক্টরেট জেনারেলের (ডিজিএফটি) নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের নিরিখে রফতানি করা যেতে পারে ওই ওষুধ।' তবে এক আধিকারিকের কথায়, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের তরফে তেমন কিছু জানানো হয়নি।
করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে ভরসা করছে বিভিন্ন দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগেও এই ওষুধের কথা বলেছিলেন। চাহিদা অনুসারে শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাইরেক্টরেট জেনারেলের তরফে জানানো হয়েছিল যে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ রফতানিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। এদিকে মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, 'ভারতে এই ওষুধ বিপুল পরিমাণে তৈরি হয়। সেখানে এই ওষুধের চাহিদাও রয়েছে।' তবু তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন ওই ওষুধ সরবরাহের জন্য। এদিকে কেন্দ্রের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারোও।