নয়াদিল্লি: বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে মিলিতভাবে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ আরও দ্রুত করছে। দেশব্যাপী শুরু হওয়া মহামারী রুখতে এই টিকা যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করতে পারে তাই এই উদ্যোগ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোভিশিল্ড’ নামে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের স্বেচ্ছাসেবকরা বর্তমানে ২-৩ নম্বর ক্লিনিকাল পরীক্ষায় রয়েছেন। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে অংশীদার হয়েছেন। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের স্বেচ্ছাসেবকদের কার্যকর ফল দেখা গেলে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসআইআই নয়াদিল্লি থেকে জরুরি অনুমোদন পেতে পারে। আদার পুনাওয়ালা এও বলেছেন যে এই ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরিমাণ ভারতে যাবে।
বৃহস্পতিবার, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে যে তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করেছে এবং তারা উভয়ই নিয়মিত অনুমোদনের জন্য নোভাভ্যাক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী শট তৈরি করা শুরু করবে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের ৪০ মিলিয়ন ডোজ বিশ্বব্যাপী সরবরাহের জন্য নাকি শুধুমাত্র ভারতের জন্য তা নিয়ে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের মানবিক পরীক্ষায় সর্বাধিক উন্নত। ভারতে যাতে এটি সহজে পাওয়া যায় তার বন্দোবস্ত করবে সিরাম ইনস্টিটিউড এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
সিরাম ইনস্টিটিউডের তরফে জানানো হয়েছে, আইসিএমআর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়াল করেছে। সংস্থাটি এবং আইসিএমআর বর্তমানে ভারতে ১৫টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিনের ২-৩টি ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করছে। যদিও এখনও কোনও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদিত হয়নি। প্রতিটি ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর কিনা প্রমাণ করার জন্য এখনও বিচার চলছে। শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারীরা দ্রুত সরবরাহের জন্য দ্রুত উৎপাদন শুরু করেছে। কারণ মহামারীটি বিশ্বব্যাপী ১.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের ফলে মারা গিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে তৈরি এই ভ্যাকসিন বর্তমানে যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বড় কার্যকারিতা পরীক্ষায় পরীক্ষিত হচ্ছে।