নয়াদিল্লি: করোনা রুখতে লকডাউন অত্যন্ত জরুরি ছিল৷ সঠিক সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত৷ দরাজ সার্টিফিকেট দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)৷
হু-র বিশেষ কোভিড-১৯ দূত ডেভিড নাবারো ভারতের প্রশংসা করে বলেন, আমেরিকা বা ইতালি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি৷ কিন্তু ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে৷ এটা খুবই সদার্থক৷ তবে লকডাউন মানেই যে করোনা বিলুপ্ত হবে, সেটা ভাবা ভুল হবে৷ কারণ, বিশ্ব থেকে করোনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি৷
ভারতে লকডাউন প্রসঙ্গে নবারো বলেন, ‘‘ভারত খুব দ্রুত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তথ্য ও বার্তা পৌঁছে গিয়েছে পঞ্চায়েত স্তরে, যেটা অত্যন্ত কার্যকর। আমি এমন বিজ্ঞাপন দেখেছি, যেখানে অমিতাভ বচ্চন বলছেন, কি করা উচিত। সচেতনতা বাড়াতে ভারত খুবই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।’’ তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলেই জাঁকিয়ে বসবে করোনা৷ ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ৷ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে৷ সাম্প্রদায়িক স্তরে সংক্রমণের বিস্তার ঘটেনি৷ যা আশার আলো দেখাচ্ছে৷ সাম্প্রদায়িক স্তরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া থেকে দেশকে বাঁচাতে পারে একমাত্র লকডাউন৷
সংক্রমণের প্রথম স্তরেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত৷ যা ভারতের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত৷ নাবারো বলেন, ‘‘এটা এমন একটা রোগ, যার বিরুদ্ধে যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে, ভালো ফল পাওয়ার সম্ভাবনা ততটা বেশি হবে।’’
২১ দিনের লকডাউন করোনা সংক্রমণ আটকানোর পক্ষে কি যথেষ্ট? এই প্রশ্নের উত্তরে নাবারো বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সরকারের। তবে যে হটস্পট (করোনা সংক্রমণের) রয়েছে, সেগুলির তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ভাইরাস শুধুমাত্র হটস্পটের মধ্যে সীমাবন্ধ থাকলে বাকি অঞ্চলে লকডাউন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার৷ লকডাউন বাড়লে মানুষের সমস্যাও বাড়বে৷ তবে সংক্রমণ রুখতে যেটা সঠিক মনে হবে, সেই সিদ্ধান্তই নেবে ভারত৷’’
নারোরা বলেন, কখন লকডাউন তোলা হবে ভারত সে বিষয়ে খুবই সচেতন৷ ক্রমেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ দেশের হাসপাতালগুলিতে বেড ফাঁকা নেই৷ সংকটে দেশ৷ এই অবস্থায় সঠিক দিশাতেই চলেছে কেন্দ্র৷