নয়াদিল্লি: চিনে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখন ভারত সহ বিশ্বের কোন দেশই ব্যাপারটা নিয়ে এত বেশী অবগত ছিল না। তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ রূপে বদলে গেল ঠিক তার পরের বছর। অল্প বিস্তর বাড়তে থাকল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার পরেরটা আলাদা করে বলতে লাগবে না। ভারতের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী হিসেবে ধরা হয় ত্রিশূরের এক মেডিকেল কলেজ পড়ুয়াকে। চিন থেকে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। এবার দেড় বছর পর আবারো তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। যদিও এবার তিনি উপসর্গহীন।
সূত্রের খবর, ওই ডাক্তারি ছাত্রী এখন দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পড়াশোনার জন্য। সেই কারণেই তিনি নিজের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে যে তিনি করোনা পজেটিভ! যদিও বর্তমানে তিনি উপসর্গহীন এবং কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে ত্রিশূরের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। পরিবার সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী উপসর্গহীন হওয়ায় আপাতত তার শরীরে করোনার সেইরূপ প্রভাবের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। গত বছর তিনি যখন পজেটিভ হয়েছিলেন তখন প্রায় মাসখানেক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এখন ততদিন থাকতে হবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। যদিও তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখছেন। এর আগেও একাধিকবার এমন খবর সামনে এসেছে যে একবার আক্রান্ত রোগী পরেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি একজন প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেও আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- অবশেষে ‘সম্মতি’, বলিউডে তৈরি হচ্ছে মহারাজের বায়োপিক, নাম ভূমিকায় কোন অভিনেতা?
আপাতত দেশে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিয়েছিল। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ের যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে তাই টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। মনে করা হচ্ছে অধিক মাত্রায় টিকাকরণ করা সম্ভব হলেই ভারতের করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কম করা সম্ভব কিন্তু তৃতীয় ঢেউ যে আসবে তা কার্যত স্পষ্ট।