দীর্ঘ লকডাউনে মা হতে পারেননি ২৬% অন্তঃসত্ত্বা: রিপোর্ট

দীর্ঘ লকডাউনে মা হতে পারেননি ২৬% অন্তঃসত্ত্বা: রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: টানা লকডাউনের জেরে শুধু অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েনি। রুজিতে টান পড়া ছাড়াও লকডাউনের জেরে করোনা ছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিত্সা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, চিকিত্সার অভাবে অনেকে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। করোনা আবহের জেরে অন্যান্য রোগীদের করুণ পরিস্থিতি উঠে এসেছে। হাসপাতালের এক দোর থেকে অন্য দোরে ঘুরতে ঘিরতে অনেক রোগী মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি যে খারাপ হবে তা আগেই বিভিন্ন মহল আশঙ্কা করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণিত করল।

এই বিষয়ে ন্যাশনালস হেলথ অথরিটি একটি সমীক্ষা করে। সমীক্ষার রিপোর্টে উঠে এসেছে, টানা লকডাউন ও করোনা আবহের জেরে ৬৪ শতাংশ ক্যানসার আক্রান্ত রোগী চিকিত্সা পাননি। ২৬ শতাংশ সন্তানের জন্ম ব্যর্থ হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন মানুষ  চিকিত্সাধীন ছিলেন। সেখানেও উল্লেখযোগ্যভাবে রোগী কমেছে বলে জানা গিয়েছে।  অসম, মহারাষ্ট্র, বিহারে যেখানে ৭৫ শতাংশ কমেছে চিকিৎসা, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, কেরালায় কমেছে ২৫ শতাংশ।

রিপোর্টে জানা গিয়েছে, চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত হয়েছেনংমূলত ২০ বছরের নীচে ও ৬০ বছরের ওপরের মানুষরা। সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র মুখ্য গবেষক সৌম্য স্বামীনাথনও। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড-১৯য়ে মারা যাওয়ার পাশাপাশি বহু মানুষ অন্যান্য রোগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিনা চিকিত্সায় মারা গিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চিকিত্সা না পাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে করোনা রোগী। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগী ছেয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পরস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতাল অন্যান্য রোগীদের ভর্তি নিতে চাইছে না। তার মূল কারণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। অন্য রোগে আক্রান্ত রোগীদের করোনা সংক্রমণ হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =