নয়াদিল্লি: একদিকে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা, অন্যদিকে সার্বিকভাবে দেশের কোভিড সংক্রমণ, দুইয়ে মিলিয়ে যেন চরম অবস্থার মধ্যে রয়েছে দেশবাসী। শেষ তথ্য বলছে, এখনই হাজার ছুঁইছুঁই ভারতের ওমিক্রন সংক্রমণ। আবার দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আজ ফের ১৩ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেগতিক দিকেই যাচ্ছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, দেশের আজ দৈনিক সংক্রমণ ১৩ হাজার ১৫৪ এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৯৬১ জন, তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৩২০ জন। সব মিলিয়ে দেশের মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ২২ হাজার ০৪০ জন এবং মোট মৃত্যু ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৬০ জন। সংক্রমণের হার এই মুহূর্তে ৫.১৫ শতাংশ, যা গত ২৪ ঘণ্টায় ১.১০ শতাংশ। উল্লেখ্য, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। দিল্লিতে ২৬৩ জন এবং মহারাষ্ট্রে ২৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপে। এর পরে রয়েছে গুজরাট, রাজস্থান, কেরল, তেলেঙ্গানা। স্বস্তি দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলা, কিন্তু সেখানেও বাড়ছে ওমিক্রন। এদিকে, ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়েছে ৫ হাজার ৪০০।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার দুই ভ্যারিয়েন্টের চাপে বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও পরিকাঠামোর উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হতে চলেছে বলে সতর্ক করেছে। ডেল্টা ও ওমিক্রন মিলে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের সুনামি ডেকে আনতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে৷ যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোভিডের সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের তরফে। প্রসঙ্গত, বিগত এক সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার ফ্রান্স ও আমেরিকায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নয়া রেকর্ড গড়েছে৷ ডেল্টাকে হারিয়ে ফ্রান্স ও ব্রিটেনে প্রধান চালিকাশক্তির ভূমিকা নিয়েছে ওমিক্রন৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে৷ আমেরিকার পরিস্থিতিও প্রায় একই রকম৷ ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা৷