নয়াদিল্লি: বিগত কয়েকদিনের যে চিত্র ধরা পড়ছিল ভারতের করোনা ভাইরাস সংক্রমণে তার থেকে কিছুটা হলেও কম হল এদিন। সেই প্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে দেশবাসী। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭২ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮৯০ জনের। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৩ হাজার ৮০২জন। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন। করোনা ভাইরাসের কারণে এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ২০৭ জনের।
এদিকে স্বস্তির আরও খবর, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে, ছত্তীসগঢ়, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হয়েছে আগের তুলনায় অনেকটা কম। এই কারণেই গোটা দেশের সংক্রমণের চিত্র পালটে গিয়েছে। এই প্রথম মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্ত ৪০ হাজারের নীচে এবং দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কম হল, যা আশার আলো দেখাচ্ছে। লকডাউন কার্যকর করেই এই সাফল্য পাচ্ছে দিল্লি তা আগেই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যায় খুব একটা বদল হয়নি।
ইতিমধ্যেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চূড়ান্ত সতর্ক বার্তা দিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে। আবারো একবার দাবি করা হয়েছে যে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। জানানো হয়েছে, সংক্রমণের প্রথম বছরের তুলনায় দ্বিতীয় বছর অবস্থা আরো শোচনীয় হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাঁচ মাস অতিক্রান্ত, পরবর্তী ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবার সম্ভাবনা প্রবল। অবশ্যই বিশেষ নজর রয়েছে ভারতের ওপর বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই মুহূর্তে সব থেকে অবস্থা খারাপ ভারতের।