নয়াদিল্লি: দৈনিক সংক্রমণ আজ অনেকটা কমল দেশে, যা স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল আজ। অন্যদিকে, সংক্রমণের হা নিয়েও একটা মাথাব্যাথা থেকে যাচ্ছে দেশবাসীর কারণ আগের মতো কম হচ্ছে না। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি যে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে তা বলার নয়। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড কেটে গেলেও ক্লান্তি কাটছে না! কী করা যায়…
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫১ হাজার ২০৯ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৬২৭ জনের। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে হয়েছে ৪ কোটি ০৬ লক্ষ ২২ হাজার ৭০৯ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৩২৭। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এখন তা ১৫.৮৮ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬৪ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ২১৬ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৫৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬৯২ ডোজ। উল্লেখ্য, এখন পৃথিবীর সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্তের দেশ আমেরিকা। এর পরই স্থান রয়েছে ভারতের। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অন্তত ৭২ শতাংশ সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়েছেন।
এদিকে কোভিড পরবর্তী সমস্যা নিয়েও জেরবার সাধারণ মানুষের একাংশ। উপসর্গ দৃঢ় হোক বা মৃদু, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর সবথেকে বেশি থেকে যাচ্ছে ক্লান্তি। সপ্তাহ খানেক নয়, অনেক ক্ষেত্রে তা কয়েক মাস পর্যন্ত কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। হয়তো সারাদিনের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না, কিন্তু মাঝে মাঝেই চাপা অস্বস্তি মালুম হচ্ছে। এখন কোভিড থেকে সেরে উঠেও ক্লান্তির কারণ একাধিক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তাহলে কী করা যায়? বিশেষজ্ঞদের অভিমত, কিছু অল্প নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। যেমন ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, হালকা খাওয়া-দাওয়া প্রভৃতি।