কীভাবে কমবে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব? বেজিংকে কূটনৈতিক সমঝোতার বার্তা জয়শঙ্করের

কীভাবে কমবে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব? বেজিংকে কূটনৈতিক সমঝোতার বার্তা জয়শঙ্করের

 

নয়াদিল্লি: গত চার মাস ধরে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে তৈরি হয়েছে চরম অস্থিরতা৷ ভারত ও চিন সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে৷ সামরিক পর্যায়ে একের পর এক বৈঠকেও সমস্যার সুরাহা হয়নি৷ গত ২৯/৩০ তারিখ রাতে ফের উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ করে লাল ফৌজ৷ এই পরিস্থিতির মাঝেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বললেন, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমঝোতায় আসা উচিত দু’দেশের৷ 

আরও পড়ুন- করোনার জেরে সংসদের বন্ধ প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রবল ক্ষোভ বিরোধীমহলে

 

বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘লাদাখে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট৷ চিনের সঙ্গে আমাদের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়েছে৷ কিন্তু এই চুক্তি এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া মেনে চলার দায়িত্ব উভয় পক্ষেরই৷’’ তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণরূপে মনে করি কূটনৈতিক পথেই এই সমাস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে হবে৷ দায়িত্বের সঙ্গেই কথাটা বলছি৷’’ তবে তিনি কোনও ভাবেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জকে লঘু করছেন না বলেও উল্লেখ করেন৷   

 

‘দি ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বই লিখেছেন কূটনীতিক-রাজনীতিবিদ জয়শঙ্কর।  ওই বই নিয়েই একটি অনলাইন ইভেন্টে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘সীমান্তে যা ঘটে চলেছে তার গভীর প্রভাব পড়বে দু’দেশের সম্পর্কের উপরে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও চিনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে ওয়াকিবহাল। আমরা চিনের প্রতিবেশী। সুতরাং প্রতিবেশীর উপর সেই প্রভাব বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। আমি আমার বইতেও সেই কথা লিখেছি।’’ 

আরও পড়ুন- রেলের ইতিহাসে প্রথম CEO পদে নিয়োগ, এল বড়সড় বদলও

 

তবে ভারতও যে তার শক্তি বৃদ্ধিতে পিছিয়ে নেই, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন জয়শঙ্কর৷ বরং সমান তালেই বৃদ্ধি পেয়েছে৷  তিনি বলেন, ‘‘গত ৩০ বছরের ইতিহাস দেখলেই বোঝা যাবে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধিও বিশ্বের নজর কেড়েছে। যদি দু’টো দেশে ১০০ কোটির বেশি মানুষ থাকে এবং তাদের একটা দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি থাকে, তা হলে তাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হল একটা সমঝোতা ও সমতায় পৌঁছনো।’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 19 =