বাংলাদেশ থেকে উঠে গেল দুর্গাপূজো? ‘টিট ফর ট্যাট নীতি’ মোদী সরকারের | India Bangladesh Visa Restrictions

তালিবানি শাসন? (India Bangladesh Visa Restrictions) দিল্লি : বাংলাদেশে কী তালিবানি শাসন চলছে? ভারত সরকারের অ্যাকশন শুরু। দুর্গাপুজোর আগে যখন বাংলাদেশে হিন্দুদের করুণ অবস্থা, তখন…

India Bangladesh Visa Restrictions

তালিবানি শাসন? (India Bangladesh Visa Restrictions)

দিল্লি : বাংলাদেশে কী তালিবানি শাসন চলছে? ভারত সরকারের অ্যাকশন শুরু। দুর্গাপুজোর আগে যখন বাংলাদেশে হিন্দুদের করুণ অবস্থা, তখন টিট ফর ট্যাট নীতি মোদী সরকারের।

পদে পদে যে দেশটাকে দরকার বাংলাদেশের, সেই ভারতের প্রতি কিনা চূড়ান্ত অন্যায় বিরোধিতা? টিকতে পারবে তো বাংলাদেশ? ভিসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের।‌ কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এটা হওয়ারই ছিল।

India Bangladesh Visa Restrictions

রেস্ট্রিকশন চাপাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Who’s Exempt: Medical & Emergency Cases)

বদলের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাড়বাড়ন্ত। সত্যিই তো, ভারত সরকার কি সবটা চুপচাপ বসে দেখবে? এই আশা করাও তো বৃথা। তাই যথারীতি যা ঘটার সেটাই ঘটলো। বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা দেওয়া নিয়ে এবার রেস্ট্রিকশন চাপাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, চিকিৎসা আর আপৎকালীন পরিস্থিতি ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের আপাতত ভিসা নয়।

বাংলাদেশ হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এটা ঠিক। কিন্তু এটাও ফ্যাক্ট, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর মহম্মদ ইউনুসের আমলে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক। হিন্দুদের উপর অত্যাচার, বাড়িঘর দোকানপাটে আগুন, লুটপাট, মারধর। কোথাও মন্দির ভাঙার ঘটনা। তাছাড়া কখনো সামনে আসছে অন্তঃসত্তা হিন্দু শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনা। কখনো চাপ দিয়ে হিন্দুদেরকে বাংলাদেশি আন্দোলনে যোগ দেওয়ানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

Who's Exempt: Medical & Emergency Cases

পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুদের টিকে থাকাই দায় হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এবার দুর্গাপুজোর সময়ও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই।চরমপন্থী দলগুলো দুর্গাপুজোর তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে। ব়্যাডিকাল ইসলামি গ্রুপ ইনসাফ কেমকারি ছাত্র-জনতা নামে একটা সংগঠন এবার দুর্গাপুজো বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রাস্তায় নেমেছে মিছিল। সেই মিছিলের প্ল্যাকার্ডে লেখা, রাস্তা বন্ধ করে কোথাও পুজো নয়, প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে জল দূষণ নয়। প্রতিমা পুজো নয়। এমনকি, যেহেতু হিন্দুদের জনসংখ্যা দুই শতাংশেরও কম। তাই দুর্গাপুজোয় সরকারি ছুটি দেওয়া উচিত নয়, কারণ তা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবনকে ব্যহত করে, এই লজিক দেখিয়ে দুর্গাপুজোর ছুটিও বাতিল করার ফতোয়া জারি বাংলাদেশে। শুধুই কি তাই? খুলনায় হিন্দু নাগরিকদের দুর্গাপুজো উদযাপনের জন্য তাদের ৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা দিতে বলা হয়েছে।

আর ইউনুস সরকার? ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের এটাই বুঝি নমুনা? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চোখের সামনে এগুলো ঘটছে, সেক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাটা ঠিক কি? আদৌ কি কোন পদক্ষেপ করতে দেখা গেছে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে?

বরং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা হিন্দু সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

অ্যান্টি ইন্ডিয়ান মেন্টালিটিও বাংলাদেশের জাঁকিয়ে বসেছে। আর এর মধ্যেই নিউইয়র্কে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ক্ষমতাচ্যুতি ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস যে বলেছেন, এই গণঅভ্যুত্থান সম্পূর্ণভাবে প্ল্যান করে করা হয়েছিল, এতে কিন্তু হিন্দুদের প্রতি মৌলবাদীদের আক্রমণ আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর এমন হুমকি ও আক্রমণ চলতে থাকলে ধর্মীয় সহিংসতা, সামাজিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

হিন্দুদের উপর এত অত্যাচার (Impact on Bangladesh-India Relations)

আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আশ্বাস সত্ত্বেও, যখন বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদে ব্যাক টু ব্যাক অ্যাটাক হচ্ছে, তখনই চরম ডিসিশনটা নিল মোদি সরকার।

ভাবতেও অবাক লাগে হিন্দুদের উপর এত অত্যাচার, এত ভারতবিদ্বেষী মানসিকতা তারপরেও, বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সে দেশের নাগরিকেরাই কিন্তু ভারতীয় ভিসা পেতে দেরী হচ্ছে বলে দাবি করছেন। এমন কি সময়ে ভিসা না পাওয়ায় রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা প্রদান কেন্দ্রে বিক্ষোভ ও চলেছে। স্লোগান উঠেছে, এক দফা এক দাবি ভিসা চাই ভিসা চাই।

আর এর প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে নিজেদের স্ট্যান্ড পয়েন্ট স্পষ্ট করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। জানিয়ে দেওয়া হল, আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিককে ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।” হ্যাঁ রীতিমতো শর্ত রেখে দিল ভারত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ভিসা প্রদানের বিষয়টিও আগের মতো হয়ে যাবে। আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।

Impact on Bangladesh-India Relations
মহম্মদ ইউনুস

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক..(Reasons Behind Visa Restrictions)

এমনিতেই, গত অগস্টে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সে দেশে বন্ধ ছিল ভিসা পরিষেবা। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় কাজ শুরু হলে সেখানেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অনেকে। এর জেরে ফের ব্যাহত হয় কাজ। বাধ্য হয়ে ভারতীয় দূতাবাস এবং ভিসা কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা মোতায়েন করে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সার্বিকভাবে গোটা বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক হয়েছে? আর প্রশ্ন হল এর পরেও কি স্বাভাবিক হবে? মোদি সরকারের এই চাপে ফেলার স্ট্র্যাটেজি আগামী দিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের গোটা পরিস্থিতিকে আদৌ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে কিনা এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Reasons Behind Visa Restrictions

আরও পড়ুন..

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দণ্ডমুণ্ডের কর্তা! ডিটো পাকিস্তান হতে বসল নাকি?

দেউলিয়া বাংলাদেশ? ইউনূসকে ভরসা করাই ভুল! 

WorldIndia Bangladesh Visa Restrictions : India suspends visa issuance for Bangladeshis, citing unspecified reasons. Medical & emergency cases exempted. Understand the implications, restrictions & latest updates on India-Bangladesh travel regulations.