নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ সমস্ত সীমান্ত৷ এরই মধ্যে শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য মাত্র ২ দিনের নোটিশে পাকিস্তানের কার্তারপুর করিডর খোলার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করল ভারত৷ কী উদ্দেশে পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নয়াদিল্লি৷
দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, সাতদিন আগে ভারতকে একথা জানানো উচিত ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু তা না করে মাত্র দু’দিন আগে কার্তারপুর করিডর খোলার কথা জানান পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি৷ এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘‘দুই দিনের শর্ট নোটিশে ২৯ জুন কার্তারপুর করিডর খোলা নিয়ে পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত তাদের সদিচ্ছার উপর প্রশ্ন তুলছে৷’’
তিনি আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, কার্তারপুর করিডর খোলার সাত দিন আগে এবিষয়ে ভারতকে জানানোর কথা পাকিস্তানের৷ তার ভিত্তিতেই কার্তারপুর গুরুদ্বরায় যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত৷ কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই শর্ত মানা হয়নি৷
করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে গত ১৬ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের মধ্যে থাকা ৪.২ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর৷ এরই মধ্যে মহারাজা রঞ্জিৎ সিংয়ের মৃত্যু বার্ষীকি উপলক্ষে শিখ পূণ্যার্থীদের জন্য করিডর খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামাবাদ৷ এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে নয়াদিল্লি৷
সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ডে এখনও বন্যা প্রবণ রবি নদীর উপর বাঁধ তৈরি করেনি৷ বর্ষার মরশুমে এই করিডর দিয়ে পূণ্যর্থীদের যাতায়াত করা কতটা নিরাপদ হবে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এছাড়াও এই করিডর শুধুমাত্র শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান৷ যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত৷ চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত ভারতীয় পূণ্যার্থীর জন্যই এই করিডর খুলে দেওয়া উচিত৷