নয়াদিল্লি: দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছিল ঠিক তখনই ব্রিটেন থেকে নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হবার খবর মেলে। সেই কবরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। এই পরিস্থিতির জন্য যাতে বেশি আতঙ্ক ছড়ায় তাই গত বছর শেষ সপ্তাহে ব্রিটেনের বিমান পরিষেবা ভারতে বন্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এখন নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আতঙ্ক কাটেনি, তার মধ্যেই আগামী সপ্তাহে ফের চালু হচ্ছে ভারত-ব্রিটেন বিমান পরিষেবা। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকেই ভারত এবং ব্রিটেন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। যদিও কড়া বিধিনিষেধ মেনে নিন চালু করা হবে পরিষেবা, জানানো হয়েছে এমনটাই। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান পরিষেবা শুরু হবার পর ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ১৫ টি করে বিমান চলবে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদ শহরের বিমানবন্দর থেকেই ব্রিটেন ভ্রমণ করা যাবে। প্রসঙ্গত, নতুন করনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। যদিও তার আগেই ভারতে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলে যায়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের কমপক্ষে ১০ টি দেশের এই নতুন প্রজাতির কর্ণ ভাইরাস সংক্রমণের খবর নেওয়ার পর ভারতেও সেই খবর মিলেছে। ব্রিটেনের ফেরত কয়েক জন যাত্রীর করোনাভাইরাস উপসর্গ মেলার পর তাদের পরীক্ষা করা হয়। অবশেষে বেশ কয়েকজনের নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। এই নিয়ে দেশে নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। অবশ্য এর সবচেয়ে বড় কারণ সাধারণ মানুষের অসচেতনতা। কারণ অনেক যাত্রী ব্রিটেন থেকে ভারতে ফেরার পর প্রশাসনের কাছে তাদের সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না, এই কারণেই তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হচ্ছে। দেশের একাধিক রাজ্য থেকে এই অভিযোগ উঠেছে। তবে এখন আশার আলো এই, ভারতে ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খুব তাড়াতাড়ি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আতঙ্ক দেশবাসী কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।