সীমান্তে শান্তির ইঙ্গিত, আট মাস পর পিছু হটল ভারত-চিন সেনা

সীমান্তে শান্তির ইঙ্গিত, আট মাস পর পিছু হটল ভারত-চিন সেনা

লাদাখ: ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল লাদাখ সীমান্তে তার প্রায় আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল দুই দেশের মধ্যেই। একাধিক হুঁশিয়ারি এবং শান্তির উদ্দেশ্যে বৈঠক করা হলেও ইতিবাচক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি দুই দেশের তরফে। তবে এবার শান্তির ইঙ্গিত মিলছে কারণ সীমান্তে দুই দেশ তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করেছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, প্যাংঙ্গং হ্রদের দুই ধার থেকে পিছু হটেছে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী। স্যাটেলাইট চিত্র সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারত এবং চিনের যে বিশাল অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়ন করা ছিল এতদিন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে দুই দেশের তরফে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, এর আগে যে জায়গায় লাল ফৌজের বিশাল মিলিটারি ক্যাম্প দেখা গিয়েছিল এখন তা আর দেখা যাচ্ছে না। চিনের সেনাবাহিনীর পিচু হঠার কারণে ভারতও তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করেছে। তবে শুধু সেনাবাহিনী নয়, সীমান্তে থাকা যাবতীয় ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্রের ভান্ডার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্যাংগং এলাকা থেকে সেনা পিছু হটলেও এখনো পর্যন্ত সেনা বহাল রয়েছে গোর্গা, ডেপস্যাং অঞ্চলে। এর আগে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন যে আলোচনার মাধ্যমে কিঞ্চিৎ সমাধানে আসা গিয়েছে এবং ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করবে দুই দেশ। আপাতত সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই বোঝা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারত এবং চিন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকা ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ভারতের ২০ জন জওয়ান শহীদ হন অন্যদিকে, চিনের কমপক্ষে ৪০ জন মারা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে চিনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক হওয়ার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, এই সমস্যার সমাধান একমাত্র সেনাবাহিনীই করতে পারে! সব মিলিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল দিন দিন। তবে আপাতত শান্তি পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে দুই দেশের পক্ষ থেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *