নয়াদিল্লি: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লক্ষ৷ কিন্তু, সংক্রমণ বাড়লেও আশার আলো দেখাচ্ছে ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতি৷ বাড়ছে সুস্থতার হার৷ মৃত্যুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে ধরে রাখা গিয়েছে৷ কীভাবে সেই ধারা বজায় রাখা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে আইসিএমআর৷ এবার, সেই গবেষণায় নয়া মাত্রা জুড়ল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ছাড়পত্র৷
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন ওষুধ ব্যবহারের ইতিমধ্যেই ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে করোনা সংকট রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে ডেক্সামেথাসন ওষুধ৷ যাঁদের অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে, সেই সমস্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসন ওষুধ প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে৷ তবে নির্দিষ্ট মাত্রায় ডেক্সামেথাসন প্রয়োগ করার বিষয়েও সর্তকতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ তবে, সাধারণ মানুষ যাতে ডেক্সামেথাসন ওষুধ এড়িয়ে চলেন, তাও নিশ্চিত করতে কড়া সতর্কতা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে৷
দিনে দিনে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার৷ এখনও পর্যন্ত গোটা দেশজুড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তবে সুস্থতার হার যথেষ্ট ইতিবাচক৷ সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার ও মৃত্যুর হারে ভারত বেশখানিকটা এগিয়ে৷ কীভাবে করোনা চিকিত্সা সাফল্য মিলবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান গবেষণা শুরু করেছে আইসিএমআর৷ করোনা চিকিৎসার জন্য আগেই ভারতের ব্যবহার করা হাইড্রোক্লোরোকুইনে সাফল্য মিলেছে৷ যদিও এই ওষুধ প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রোক্লোরোকুইন ট্যাবলেটকে ছাড়পত্র দিয়েছে৷
এবার করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নতুন ওষুধ ব্যবহার করতে চলেছে ভারত৷ দেশের চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যালোচনা করেছে কেন্দ্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ডেক্সামেথাসন ওষুধ করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে৷ যাঁদের অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে৷ তবে নির্দিষ্ট মাত্রায় তা ব্যবহার করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে৷