নয়াদিল্লি: সীমান্তে হামলার পর এবার ভারতের সাইবার জগতেও হতে পারে বড়সড় হানাদারি৷ হাতিয়ে নেওয়া হতে পারে গোপন তথ্য৷ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কোনও ই-মেলের আড়ালে ফাঁদ পাততে পারে হ্যাকাররা৷ সম্প্রতি এ বিষয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্ত মন্ত্রকের সংস্থা ‘কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ (সিইআরটি)৷
তবে এই সমস্যা সাম্প্রতিক নয়৷ ২০১৬ সাল থেকেই ভারত চিনা হ্যাকারদের টার্গেটে রয়েছে৷ তাদের নিশানায় থাকা দেশগুলির তালিকায় আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, জার্মানি এবং জাপানের পর ছয় নম্বরে রয়েছে ভারত৷ মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ফায়ারআই জানাচ্ছে, মাঝে মধ্যেই সরকারি সাইটগুলির উপর হানা দেয় এই হ্যাকারবাহিনী৷ এর পর তাদের নিশানা টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম, হাইটেক এবং পরিবহন৷ ২০১৩ সালে প্রথম ফায়ারআই চিনের ‘সাইবার গুপ্তচর’ PLA Unit 61398,972-এর হদিশ পায়৷ দেখা গিয়েছে APT1 (ইউনিটের নির্ধারিত নাম) ৩৬৫ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১,৭৬৪ দিন আক্রান্তের নেটওয়ার্কে অ্যাকসেস বজায় রাখে৷ আইটি, মহাকাশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হয়৷
চিনের একটি টেক ব্লগে বলা হয়েছে, ‘‘ইন্টারনেট যদি অস্ত্র হয়, তাহলে প্রথম সারির হ্যাকাররা দেশের মূল্যবান সম্পদ৷’’ এই ব্লগে চিনের সেরা হ্যাকারদের তালিকাও দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে, গুও শেঙ্গুয়া, গুডওয়েল, ব্যাডবয়, চাইনিজ হক এবং কুলফায়ার৷ সাধারণত, হ্যাকার সম্প্রদায় চারটি জেনারেশনের কথা বলা হয়ে থাকে৷ প্রথমটি শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে, দ্বিতীয়টি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে৷ ইন্দোনেশিয়া দাঙ্গায় চিনা সম্প্রদায়ের উপর আঘাত আসার পর গড়ে উঠেছিল এটি৷ তৃতীয়টি হয় ২০০১ সালে এবং নয়া জেনারেশন শুরু হয়েছে পাঁচ বছর আগে৷
সম্প্রতি চিন সেনার মদতে পুষ্ট ‘গথিক পান্ডা’ এবং ‘স্টোন পান্ড’ গোষ্ঠীর হ্যাকাররা ক্ষতিকর ই-মেলের মাধ্যমে ভারতে সাইবার হামলা চালাতে পারে সতর্ক করা হয়েছে৷ ‘সাইফার্মা’র চেয়ারম্যান এবং সিইও কুমার রীতেশ জানিয়েছেন, চিন সেনার প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই দু’টি সংস্থার হ্যাকারেরা আগেও বিভিন্ন দেশে সাইবার হামলা চালিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকাতেও এই হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।