নয়াদিল্লি: করোনা আবহে এই বছর স্বাধীনতা দিবসের অন্য এক উদযাপন দেখবে দেশের মানুষ৷ প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও দিল্লির লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী৷ জাতীয় উদ্দেশে ভাষণও দেবেন৷ তবে এবার আমন্ত্রিতের তালিকা থাকবে খুবই সীমিত৷ থাকবে না কচিকাচারা৷ হবে না কুচকাওয়াজ৷
কী ভাবে পালিত হবে এই বছর স্বাধীনতা দিবস? এই বিষয়ে শুক্রবার নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন এমন ভাবে করতে হবে, যাতে জনসমাবেশ না হয়৷ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান পালন করা হবে৷’’ অর্থাৎ এই বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়াল৷ সারা দেশে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, সেদিকে নজর রেখেই এই নির্দেশিকা তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷
প্রতি বছরের মতো এই বছরও লালকেল্লায় সশস্ত্র সেনা ও দিল্লি পুলিশের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান হবে৷ গার্ড অফ অনরা দেওয়া হবে৷ গান স্যালুটের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি৷ ভাষণের পর জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে৷ ওড়ানো হবে তেরঙ্গা বেলুন৷ রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘অ্যাট হোম’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে৷
প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে যে বিশাল কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়৷ এই বছর তা স্থগিত করা হয়েছে৷ পুলিশ ও মিলিটারি ব্যান্ডের পারফরম্যান্স আগেই রেকর্ড করা হবে৷ ১৫ অগাস্ট তা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্প্রচার করা হবে। মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্রিয়া কলাপের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে৷
রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চগুলির কাছেও এই অ্যাডভাইজারি পাঠানো হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রীদের পতাকা উত্তোলন কোনও বাধা নেই৷ তবে তা হবে শুধুমাত্র জাতীয় সংগীত ও গান স্যালুটের মাধ্যমে করতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যাতে জমায়েত না হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় থাকে রাজ্যগুলিকে সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে৷ ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে ওই দিন কোভিড যোদ্ধাদের (চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী) সম্মান জানাতে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে৷ যারা করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন কিছু ব্যক্তিকেও আমন্ত্রণ জানানো যাবে৷
এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই বাকি সমস্ত অনুষ্ঠান, যেমন-বৃক্ষরোপণ, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্কসভার আয়োজন করা হবে। যে অনুষ্ঠানগুলি অনলাইনে করা সম্ভব নয়, সেগুলির সামাজিক দূরত্ব মেনে পালন করতে হবে৷