নয়াদিল্লি: মঙ্গলবারই আরও ১৯ দিনের জন্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর বুধবার দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট বলে ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা সহ মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, জয়পুর ও আগ্রার মতো ৬টি বড় শহরের কিছু অংশ। কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী ১২৩ জেলাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এরাজ্যের কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার নাম।
বর্ধিত লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে বুধবার একগুচ্ছ নতুন নিয়মও জারি করেছে কেন্দ্র। নিয়ম বিধির আইনানুগ প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহামারীর পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং সার্বজনীন এলাকাগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, নতুন এই নির্দেশিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সমস্ত রকম নেশাকারক দ্রব্যের বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
যেমন এই সময়ের মধ্যে তামাকজাত যে কোনও দ্রব্য অর্থাৎ বিড়ি, সিগারেট জাতীয় বস্তু, মদ ও গুটখার বিক্রি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এমনকি এই নির্দেশিকাকে এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট, ১৮৯ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৫ এর আওতায় রাখা হয়েছে। ফলে কোনো বিক্রেতা এইধরণের কোনো জিনিস বিক্রি করলে তাঁকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের সম্মুখীন হতে হবে। এদিন বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মূল কারণ হল শ্বাসবাহিত রোগ। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাস্তায় মাস্ক না পরে বেরোলে এবং রাস্তায় প্রকাশ্যে থুতু ফেললে তা আইনত অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। এর জন্য শাস্তি বা জরিমানাও দিতে হতে পারে।
দিল্লি সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য যেমন, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, নাগাল্যান্ড ও অসমে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে পান, গুটকা,খৈনির মতো নেশাকারক জিনিস বিক্রি করা, পৃকাশ্য নেশা করা এবং রাস্তায় থুথু ফেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।