ফের হাথরাসে দলিত কিশোরীকে অপহরণ-গণর্ষণের অভিযোগ

ফের হাথরাসে দলিত কিশোরীকে অপহরণ-গণর্ষণের অভিযোগ

4128be1d7fdb2c9ec3bc6a57c78b5c18

 
আগ্রা: ফের খবরের শিরোনামে হাথরাস। আবারও এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ যোগীরাজ্যে৷ হাথরাসে হোলির দিন দলিত কিশোরীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের  অভিযোগে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে অনেক টালবাহানার পর তাদের গ্রেফতার করেছে।

নির্যাতিতা দলিত কিশোরীর পরিবারের দাবি,  তাঁদের মেয়ে ২৯ মার্চ হোলির দিন দুপুর দু’টো নাগাদ শৌচকর্ম সারতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। সেই সময় দু’জন পিছন থেকে এসে তাকে অপহরণের চেষ্টা করলে কিশোরী চিৎকার শুরু করে৷ সেসময় তাঁকে থামাতে মুখ-নাক কিছু দিয়ে চেপে ধরেন তাঁরা। এরপর সে অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। ওই দিন রাতেই তিনজন মিলে তাকে একের পর এক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরবেলা তাকে গ্রামে ছেড়ে দিয়ে যান।

এরপর কিশোরী বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে জানায়, সেদিন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার  সময় সে সংজ্ঞা হারিয়েছিল৷ পরে যখন তাঁর জ্ঞান ফিরলে, ঘরের মধ্যে সে এক অভিযুক্তর বোনকে দেখতে পেয়েছিল। মেয়ের মুখ থেকে সব ঘটনা শোনার পরেই স্থানীয় থানায় গেলেও, পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি বলেও অভিযোগ। উলটে অভিযোগ, মুখ না খোলার জন্য তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। এক ইংরাজি দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতা জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় গেলে তাকে, তার বাবাকে এবং ভাইকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে বলে পুলিশ হুমকি দিয়েছিল। এরপর নিরুপায় হয়ে কিশোরী হাথরাসের পুলিশ সুপার বিনয় জয়সওয়ালের দ্বারস্থ হয়। তিনি নির্যাতিতাকে সুবিচারের আশ্বাস দেন। হাথরাসের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পসকো এবং তফশিলি আইনে অভিযুক্তদের  বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই হাথরাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল৷ তখনও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল৷ এমনকি পুলিশই দেহ নিজে থেকে জ্বালিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *