ভাঙনের মুখে রাজ্য সরকার, ২ নির্দল বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহার

কর্ণাটক: শেষপর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। কর্ণাটকে শুরু ঘোড়া কেনা বেচা। ২ নির্দল বিধায়ক কুমারস্বামী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল। যদিও অঙ্কের বিচারে সরকারের পড়ে যাওয়র সম্ভাবনা এখনো তৈরি হয়নি। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সরকার মোটেই টলমল নয়। চিন্তার কিছু নেই। আগেই শোনা গিয়েছিল অপারেশন লোটাসের কথা। মোদ্দা কথা হল, দল ভাঙানোর চেষ্টা এই

ভাঙনের মুখে রাজ্য সরকার, ২ নির্দল বিধায়কের সমর্থন প্রত্যাহার

কর্ণাটক: শেষপর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। কর্ণাটকে শুরু ঘোড়া কেনা বেচা। ২ নির্দল বিধায়ক কুমারস্বামী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল। যদিও অঙ্কের বিচারে সরকারের পড়ে যাওয়র সম্ভাবনা এখনো তৈরি হয়নি। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সরকার মোটেই টলমল নয়। চিন্তার কিছু নেই।

আগেই শোনা গিয়েছিল অপারেশন লোটাসের কথা। মোদ্দা কথা হল, দল ভাঙানোর চেষ্টা এই অপারেশন লোটাস। কংগ্রেসের ৫জন বিধায়ক নিখোঁজ হতেই এই অভিযোগ প্রবল হয়। ডিকে শিবকুমার আগেও ত্রাতার কাজ করেছেন। এবারও ভাঙন আটকানোর অনেক চেষ্টা করেন। কুমারস্বামী বলেন, কংগ্রেস বিধায়করা ছুটি কাটাতে গেছেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

গত বছর মে মাসে কর্ণাটকে সরকার গড়ার সময় এই ২ নির্দল বিধায়ক কুমারস্বামীকে সমর্থন করেছিলেন। এঁরা হলেন আর শঙ্কর, ও এইচ নাগেশ। তাঁর এদিন রাজ্যপালকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, জোটের অশান্তির জন্য তাঁরা সমর্থন তুলে নিচ্ছেন। অঙ্কের বিচারে এরপরেও সরকার পড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গড়তে দরকার ১১৩। কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৮০ আর জেডিএসের ৩৭। প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে জোটের শক্তি বেশি। এই অবস্থায় ২ বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন কুমারস্বামী। তবে এই প্রবণতা চলতে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু মোটেই নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন না।

তাঁর ডেপুটি জি পরমেশ্বরা বলেন, নির্দলরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তাঁরা সমর্থন তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। কুমারস্বামী বলেন, আমি নিশ্চিন্তে আছি। আমি আমার শক্তি জানি। ফলে চিন্তার কিছুই নেই। আগেও বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়ে সরকার ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার আরো প্রবল ভাবে অভিযোগ উঠল। কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিধায়ক নিখোঁজ ঘটনার সঙ্গেই অপারেশন লোটাসের অভিযোগ মাথাচাড়া দেয়। সোমবার এনিয়ে জরুরি বৈঠক করে কংগ্রেস। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী পরে বলেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ আছে বিধায়কদের। তিনি আরো বলেন, সরকার পড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

সোমবার কংগ্রেস কর্ণাটকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছিল। অপারেশন লোটাসের আতঙ্কে পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অভিযোগ, বিজেপি কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অপারেশন লোটাস কী? এই শব্দটা প্রথম শোনা যায় ২০০৮ সালে। ৫ কংগ্রেস বিধায়কের দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে খবর। তারপরই অপারেশন লোটাসের আতঙ্ক মাথাচাড়া দেয়। যদি কুমারস্বামী বলেন, সবাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁরা মুম্বই গেছেন আমাকে জানিয়েই। আমার সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে কোনো আতঙ্ক নেই। কংগ্রেস বিধায়কদের এখনো দলত্যাগের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রবণতা যদি আরো বাড়তে থাকে, তাহলে কুমারস্বামীর ঘুম উড়ে যেতে বাধ্য। বিজেপির ৫ রাজ্যের ফলে ভরাডুবি হয়েছে। ক্ষমতা হারাতে হয়েছে। ফলে তারা যে নতুন করে যেন তেন ক্ষমতা কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠবে, তা বলাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × three =