আজ বিকেল: সাতসকালে স্কুলে প্রার্থনা করতে গিয়ে বিদ্যুতের শক পেল খুদে পড়ুয়ারা। স্কুল চত্বরেই পডে হাইটেনশনের তার, টানা বৃষ্টির জেরে তখনও ভিজে মাঠ। খালি পায়ে প্রার্থনা করতে গিয়ে সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল প্রাথমিক স্কুলের ৬০ পড়ুয়া। এদের মধ্যে ৫১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়্ছে। সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার এক প্রাথমিক স্কুলে। গোটা ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তরের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বলরামপুর জায়গাটি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি চলছে। বৃষ্টিতে ছিঁড়ে পড়েছিল একটি হাই টেনশন বিদ্যুতের তার। নারায়ণগড় প্রাইমারি স্কুলের চত্বরে থাকা কয়েকটি গাছের ওপর দিয়ে তারটি এসে পড়েছিল মাটিতে। বৃষ্টির ফলে মাটি ছিল ভিজে।সোমবার বেলা ১০ টা নাগাদ স্কুল শুরু হওয়ার আগে ছেলেরা স্কুল চত্বরে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়। নিয়মমতো গাছের নীচে জুতো খুলে তাদের চটের ওপরে বসার কথা। তারপর প্রার্থনা শুরু হয়। কিন্তু গাছের নীচে জুতো ছাড়ার জন্য যেতেই ছেলেরা বিদ্যুতের শক পায়। স্কুলের শিক্ষকরা সেই ভয়াবহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁরা জানিছেন, দেখলাম প্রায় ৬০ জন ছেলে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে করতে খালি পায়ে দৌড়চ্ছে। তবে কেউ বেশিদূর দৌড়তে পারেনি। একে একে অজ্ঞান হয়ে যেতে লাগল। শিক্ষকরা অক্ষত ছিলেন। কারণ তাঁদের কেউ জুতো খোলেননি।
জেলাশাসক কৃষ্ণ করুণেশ জানান, বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতিতেই ৫১ জন ছাত্র আহত হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কনট্রাক্টে যে কর্মীদের নেওয়া হয়েছিল, তাদের একজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আরও একজনকে। ওই অঞ্চলের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার প্রিয়দর্শী তেওয়ারির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।আহত শিশুদের মধ্যে ২৯ জনের চিকিৎসা হচ্ছে উতরাউলা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে। বাকি ২২ জন ভর্তি আছে বেসরকারি হাসপাতালে।