আনন্দ: ২০২১ সালের উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার মোদির গড় গুজরাটে। বৃহস্পতিবার গুজরাটের এক কংগ্রেস বিধায়কের জামাইয়ের গাড়ি পিষে মারল তিন মহিলাসহ মোট ৬ জন পথচারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আনন্দ শহরে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ওই কংগ্রেস নেতার জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘাতক গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজরাটে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার পর থেকেই গুজরাট কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। একের পর এক টুইটের মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন গুজরাট বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফ থেকে কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলেই খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ আনন্দ শহরের রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসে কংগ্রেস নেতার জামাইয়ের ওই ঘাতক suv গাড়িটি। হঠাৎই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং একের পর এক বাইক ও অটো রিক্সাকে ধাক্কা মারতে শুরু করে। গাড়ির আকস্মিক ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়েন আরোহীরা। একইভাবে অটোরিকশা থেকেও যাত্রীরা পড়ে যান। ফলে ঘটনাস্থলেই তিন মহিলা সহ মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে গাড়ি চালকও গুরুতর চোট পান। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। গুজরাট পুলিশের দাবি, ঘাতক ওই suv গাড়িটি সজিত্রা বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই মাধাভাই পারমারের জামাই কেতন পদিধারের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্যদিকে এই ঘটনায় মৃতদের প্রসঙ্গে গুজরাট পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত ৩ মহিলা রাখী বন্ধন উৎসবের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁদের। এদের নাম জয়াবেন মিস্ত্রি, জানহ্নীবেন মিস্ত্রি, বীনাবেন মিস্ত্রি। সম্পর্কে তাঁরা মা ও মেয়ে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অটো রিকশা চালক যশন ভোরা ও বাইকে থাকা যোগেশ ও সন্দীপ।