নয়াদিল্লি: শান্তির বার্তা দিয়ে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ায় পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের দেওয়ার জন্য ট্যুইটারে যে দাবি উঠেছে, তাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব৷
শনিবার এক অনুষ্ঠানে এদিন আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব৷ সেখানেই উঠে আসে পাক প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়ার বিষয়টি৷ রাম মাধব জানান, এই প্রস্তাবে তাদের তরফে কোনও আপত্তি নেই৷ পাকিস্তান ভারতের শত্রু রাষ্ট্র৷ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে মদতদাতা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে এহেন পুরষ্কারে বিজেপি নেতা রাম মাধবের সম্মতিসূচক উত্তরে অবশ্য ছিল কটাক্ষ৷
তাঁর দাবি, পাকিস্তানের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘দৈত্য’৷ সমালোচনার সুরে তাঁর যুক্তি, দৈত্যরাই শেষ করে দেবে ওদের৷ তাই শান্তি পুরষ্কার দিলেও কতটা বদলাবে ওরা? সন্দেহ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতা৷ এরপর রাম মাধব বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় নীতি সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া৷ ওই দেশের ভর কেন্দ্রের অন্যতম স্তম্ভ সন্ত্রাসবাদ৷ সন্ত্রাসে গত ১০ বছরে তারাও আক্রান্ত৷ কিন্তু তবুও তাদের পরিবর্তন হয়নি৷
ফলে শান্তি পুরষ্কার দিলেও তার লাভ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বিজেপি নেতা রাম মাধবের সতর্কতা, পাকিস্তান শান্তি চায়৷ সন্ত্রাসে মদত দেয় না৷ এটা একটা বড়সড় ফাঁদ৷ এই ফাঁদে পা দেওয়া হবে মুর্খামির পরিচয়৷ উল্লেখ্য, উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা পাক পার্লামেন্টে বৃহস্পতিবারই এই ঘোষণা করেন ইমরান খান৷ তারপর থেকেই নানা মহল থেকে শান্তির দূত হিসাবে গন্য করা হতে থাকে তাঁকে৷ ট্যুইটারে দাবি ওঠে, পাক প্রধানমন্ত্রীকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের দেওয়ার জন্য৷
ভারতের দাবি, জেনিভা কনভেনশন মেনে ইসলামাবাদকে ফেরাতেই হত অভিনন্দনকে৷ অন্যদিকে পাকিস্তানের মদতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার বিপক্ষে একজোট হয় বিশ্ব৷ বন্ধু চিনও প্রকাশ্যে ইসলামাবাদের পাশ থেকে সরে যায়৷ এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনার উইংকমান্ডারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়৷ সেই চাপের কাছেই নতি স্বীকার করে ইমরান খানের সরকার৷