নয়াদিল্লি: বিদ্যুৎ গতিতে চাহিদা বাড়ছে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বহু বিতর্কিত ওষুধ ‘করোনিল’-এর৷ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবেই এই ওষুধ বাজারে এনেছে যোগগুরু বাবা রামদেবের আয়ুর্বেদিক সংস্থা৷ তাঁর দাবি, এই মুহূর্তে প্রতিদিন করোনিলের প্রায় ১০ লক্ষ প্যাকের চাহিদা রয়েছে বাজারে৷ যা সামাল দিয়ে উঠতে পারছে না হরিদ্বারের এই সংস্থা৷ এই মুহূর্তে তারা দিনে মাত্র ১ লক্ষ প্যাক জোগান দিতে সক্ষম বলে জানালেন যোগগুরু রামদেব৷
আরও পড়ুন- লকডাউনে কী কী কাজ করেছেন শিক্ষকরা? নাম ধরে হিসাব নেবে বিকাশ ভবন
যোগগুরুর দাবি, ‘‘এখন প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষ প্যাক করোনিলের চাহিদা রয়েছে বাজারে৷ কিন্তু আমরা মাত্র ১ লক্ষ প্যাক জোগান দিতে পারছি৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই ওষুধের দাম মাত্র ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে৷ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই ওষুধের দাম যদি ৫ হাজার টাকা রাখতাম, তাহলে সহজেই ৫ হাজার কোটি টাকার মুনাফা করতে পারতাম৷ কিন্তু আমরা তা করিনি৷’’ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অধীনে ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এ ASSOCHAM আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সিরিজে এই কথা বলেন রামদেব৷
আরও পড়ুন- ফের মুখ পোড়ালেন ইমরান! কাশ্মীর ইস্যুকে রাষ্ট্রসংঘে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ পাকিস্তানের
জুন মাসের গোড়ায় তাদের তৈরি করোনিল করোনা সারাতে পারে বলে দাবি করেছিল যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি৷ তাদের তৈরি এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ সাত দিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসকে কুপোকাৎ করে ফেলবে বলেও দাবি করা হয়েছিল৷ তবে তড়িঘড়ি এই ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আয়ূষ মন্ত্রক৷ পরে মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবে পতঞ্জলি এই ওষুধ বিক্রি করতে পারবে, করোনা প্রতিরোধকারী ওষুধ হিসাবে নয়৷ এদিকে, চেন্নাই ভিত্তিক একটি সংস্থার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সেই সময় জানায়, ৩০ জুলাই পর্যন্ত করোনিল ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে পারবে না পতঞ্জলি৷
আরও পড়ুন- কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, ICU বেডে শুয়ে জীবন্ত পুড়ল ৮ রোগী
কোভিড পরিস্থিতিতে মানুকে ধৈর্য্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন রামদেব৷ তাঁর কথায়, পতঞ্জলি আজ একটি বড় ব্র্যান্ড৷ পতঞ্জলির সাফল্যের মন্ত্র হল- সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সনাতন জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কঠোর পরিশ্রম৷ তিনি জানান, প্রায় ৫০০ জন বিজ্ঞানী পতঞ্জলি সংস্থায় কাজ করছেন৷ এখনও গুরু-শিষ্যের ঐতিহ্যে বা সনাতন প্রথায় বিশ্বাসী হলেও, একইসঙ্গে তিনি বিজ্ঞানমনষ্ক৷ তাদের তৈরি ওষুধ সম্পূর্ণ বিজ্ঞান ভিত্তিক৷