ভূত তাড়িয়েছেন রাম নাম করে! আইআইটি কর্তার দাবিতে শোরগোল

ভূত তাড়িয়েছেন রাম নাম করে! আইআইটি কর্তার দাবিতে শোরগোল

নয়াদিল্লি: ভূত আছে কী নেই, এই নিয়ে তর্ক চলে আসছে আর চলে আসবেই। কে ঠিক বা কে ভুল, তার ব্যাখ্যা হয় না। মানা এবং না মানার মধ্যে দিয়েই জগত এগোচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, বিজ্ঞানের মানুষরা এই সব ব্যাপার একদমই মানেন না, উলটে তারা যুক্তি খোঁজেন। কিন্তু এখন যদি একজন আইআইটি কর্তা ভূত তাড়ানোর দাবি তোলেন তাহলে একটু অবাক লাগে বৈকি। ঠিক এমনই দাবি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কর্তা লক্ষ্মীধর বেহরা। তাঁর এই দাবি ঘিরেই এখন চাঞ্চল্য।

গত বৃহস্পতিবার হিমাচলপ্রদেশের আইআইটি মান্ডির নতুন অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লক্ষ্মীধর। তবে এখন ভূত তাড়ানোর দাবি তুলে তিনি সংবাদ শিরোনামে। সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে তিনি এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। দাবি তুলেছেন যে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ শক্তি’ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন মন্ত্র পাঠের বলে। ভিডিয়োটিতে ১৯৯৩ সালের একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন লক্ষ্মীধর। তাঁর এই দাবি ঘরেই এখন ব্যাপক চর্চা। যুক্তিবাদীদের একাংশের বক্তব্য, একজন বিজ্ঞানের মানুষ হয়ে তিনি যে ধরণের অযৌক্তিক কথা বলছেন তা মানা যায় না। এতে সমাজে উলটো প্রভাব পড়বে। তারা আরও বলছে, কেউ কোনও জিনিসে বিশ্বাস রাখতেই পারে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু সেটাকে এইভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করে তা সকলকে মানতে বাধ্য করানোর প্রচেষ্টা ঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, হিমাচলপ্রদেশের আইআইটি মান্ডির নতুন অধিকর্তা হওয়ার আগে লক্ষ্মীধর ছিলেন আইআইটি কানপুরের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। তিনি আবার রোবট বিশেষজ্ঞ। পড়াশোনা করেছেন আইআইটি দিল্লি থেকে। পরে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন জার্মানির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 11 =