করোনা রোগীদের উপর কড়া নজর রাখবে এই যন্ত্র, নয়া আবিষ্কার IIT পড়ুয়াদের

করোনা রোগীদের উপর কড়া নজর রাখবে এই যন্ত্র, নয়া আবিষ্কার IIT পড়ুয়াদের

নয়াদিল্লি:  করোনা অভিযানে সামিল হল ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ম্যাড্রাস বা আইআইটি ম্যাড্রাস। করোনা রোগীদের সুচারু মনিটরিংয়ের জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করে তার ব্যবহার চালু করতে হেলথ স্টার্ট আপ হেলিক্সনের সঙ্গে হাত মেলাল দেশের এই প্রযুক্তি শিক্ষার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান। আইআইটি ম্যাড্রাসের বিবৃতি অনুযায়ী এই যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়, পোর্টেবল, তারবিহীন। এই যন্ত্র ক্লিপের মাধ্যমে রোগীর আঙুলে লাগিয়ে দিলেই মোবাইল কিংবা সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে এর থেকে তথ্য পাওয়া যাবে।

বাহুমূল দিয়ে দেহের তাপমাত্রা এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাসহ অন্যান্য বিষয়গুলি আঙুলের মাধ্মে মাপা হবে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই যন্ত্র একবছরের বেশি সময় চালু থাকবে। করোনা ছাড়াও এই হাসপাতালগুলি এবং চিকিৎসকরা রোগী দেখার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। আইআইটি ম্যাড্রাস সূত্রে খবর পাবলিক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং বাড়িতে প্রায় দু হাজার রোগীর কাছে এই যন্ত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। আরও ৫ হাজার যন্ত্রের চাহিদা রয়েছে।

চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। যন্ত্রের নির্মাণশৈলী ও শ্রেণিবিভাগের ওপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারিত হয়। মূলত আড়াই হাজার থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে এর দাম রয়েছে, বলে জানিয়েছে আইআইটি ম্যাড্রাস। যন্ত্র তৈরী পদ্ধতি নিয়ে বলতে গিয়ে আইআইটি ম্যাড্রাসের শিক্ষক তথা হেলথকেয়ার টেকনোলজি ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান মোহনাশঙ্কর শিবপ্রকাশম জানিয়েছেন গ্রাহক টানতে রিস্টব্যান্ড বা পরিধানযোগ্য যন্ত্র তৈরীর কথা ভাবা হয়।

কিন্তু চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলি সাফ জানায় পেশেন্ট মনিটরসহ স্বচ্ছ তথ্য দেয় এমন যন্ত্রই তারা নেবে, কারণ এগুলি রোগর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। শিবপ্রকাশম জানান এটি একাধারে তাদের কাছে বড় শিক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যন্ত্রের মূল প্রযুক্তির জন্য চেন্নাই বিভিন্ন মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন ধরণের সমীক্ষা একবছর ধরে চালানো হয় আধুনিক ও ঠিকঠাক প্রয়োগের ক্ষেত্র তৈরীর জন্য। আইআইটি ম্যাড্রাসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমস্ত ক্লিনিকাল ইনপুটের ওপর ভিত্তি করে যন্ত্রটি তৈরী করা হয় যাতে তা স্বল্প ব্যয়ে সরল এবং হাসপাতাল ও রোগীর বাড়িতে সহজে ব্যবহারযোগ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + sixteen =