প্রাণের ভয় উপেক্ষা করে কীভাবে শবরীমালায় প্রবেশ? জানালেন বিন্দু-দুর্গা

প্রাণের ভয় উপেক্ষা করেই ঢুকেছিলেন শবরীমালার আয়াপ্পার মন্দিরে। ভেঙে দিয়েছিলেন কুসংস্কারের বেড়াজাল। অবশেষে মুখ খুললেন শবরীমালায় প্রথম প্রবেশকারী নিষিদ্ধ বয়সের দুই মহিলা বিন্দু আম্মিনি ও কনক দুর্গা। সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুভয় উপেক্ষা করেই আমরা প্রবেশ করেছিলাম। কেননা, এটা আমাদের অধিকার। আমরা যা করেছি তার জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের দেখে আরও অনেক ঋতুমতী মহিলা মন্দিরে যাওয়ার কথা

প্রাণের ভয় উপেক্ষা করে কীভাবে শবরীমালায় প্রবেশ? জানালেন বিন্দু-দুর্গা

প্রাণের ভয় উপেক্ষা করেই ঢুকেছিলেন শবরীমালার আয়াপ্পার মন্দিরে। ভেঙে দিয়েছিলেন কুসংস্কারের বেড়াজাল। অবশেষে মুখ খুললেন শবরীমালায় প্রথম প্রবেশকারী নিষিদ্ধ বয়সের দুই মহিলা বিন্দু আম্মিনি ও কনক দুর্গা।

সাংবাদিকদের জানান, মৃত্যুভয় উপেক্ষা করেই আমরা প্রবেশ করেছিলাম। কেননা, এটা আমাদের অধিকার। আমরা যা করেছি তার জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের দেখে আরও অনেক ঋতুমতী মহিলা মন্দিরে যাওয়ার কথা ভাববেন। এমনকি বর্তমান বিক্ষোভের প্রসঙ্গেও বলেন, যারা অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছেন তারা কিন্তু সংখ্যালঘু। তার চেয়ে বরং প্রশংসা করেছেন আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ। আরও জানান, তাঁদের স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে প্রশাসনের কল্যাণেই।

একটি তেলের ট্যাঙ্কারে চেপে তাঁদের মন্দিরের বেসক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সাদা পোশাকের পুলিশের ঘেরাটোপে সবার নজর এড়িয়ে পাশের একটি দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লেগে যায় কট্টরবাদীদের। ততক্ষণে তাঁদের প্রার্থনা করা হয়ে গিয়েছে বিন্দু ও কনক দুর্গার। একদিন পরেই আবার মন্দিরে প্রবেশ করেন ৪৬ বছরের এক শ্রীলঙ্কান মহিলাও। যাই হোক নিরাপত্তা জনিত কারণে, এখনও গোপন স্থানে রাখা হয়েছে বিন্দু ও কনক দুর্গাকে। কিন্তু নিজেদের বিপদের কথা নিয়ে মোটেও বিচলিত নন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =