অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরে চলল ইফতার

নয়াদিল্লি: এখানেই রামলালার জন্মস্থান বিতর্ক নিয়ে ২৭ বছর আগে শুরু হয়েছিল সংঘাত। অযোধ্যা। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সেই ঘটনা আজও ঘুরে ফিরে আসে রাজনীতির আসরে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে তিক্ততার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ের কাহিনী। রাজনীতির দাবার বোড়ে হয়েছে এই শান্ত সহাবস্থানের শহর। সোমবার এখানকার সীতারাম মন্দিরের চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতারের। মন্দিরের পুরোহিত যুগলকিশোর শরণ শাস্ত্রী জানিয়েছেন গত

অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরে চলল ইফতার

নয়াদিল্লি: এখানেই রামলালার জন্মস্থান বিতর্ক নিয়ে ২৭ বছর আগে শুরু হয়েছিল সংঘাত। অযোধ্যা। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সেই ঘটনা আজও ঘুরে ফিরে আসে রাজনীতির আসরে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে তিক্ততার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ের কাহিনী। রাজনীতির দাবার বোড়ে হয়েছে এই শান্ত সহাবস্থানের শহর।

সোমবার এখানকার সীতারাম মন্দিরের চত্বরে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতারের। মন্দিরের পুরোহিত যুগলকিশোর শরণ শাস্ত্রী জানিয়েছেন গত তিনবছর ধরেই তাঁরা ইফতারে ডাকেন সহ নাগরিকদের। ভবিষ্যতেও হবে। মন্দিরে ইফতারে আসা স্থানীয় কবি মুজাম্মিল ফিজার কথায়, তাঁরা তাঁদের হিন্দু প্রতিবেশিদের সঙ্গে রামনবমী পালন করেন। ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে, তাদের কাছে এটাই অযোধ্যার বার্তা।

এই ইফতারের একটা বড় বৈশিষ্ট্য, কোনও রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা দেখাতে যে এই উদ্যোগ রাজনৈতিক নয়। ইফতারের আগে সাম্প্রদায়িকতার বিপদ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। স্থানীয় কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা ছিলেন সেখানে। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলেই সম্প্রীতির লক্ষ্যে কাজ করার শপথ নেন তাঁরা। ইফতারে বিভিন্ন মন্দিরের সাধুরা রোজাদারদের খেজুর, লাড্ডু বিতরণ করেন। বিখ্যাত হনুমানগড়ি মন্দিরের প্রসাদও নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখানেই হয় মাগরিবের নমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *