‘বেতন নিই না, তাহলে কীভাবে চলে আমার?’ জবাব দিলেন মমতা

কৃষ্ণনগর: লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে নদীয়ার গয়েশপুরে দাঁড়িয়ে নিজের অর্থিক আর্থিক সচ্ছলতার প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাত বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের বেতন না নিলে কীভাবে চলে তাঁর সংসার, নিজেই সেই সিহাব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘কী সোনা খাব, মুক্ত খাব? এই সব আমার পছন্দ হয় না৷’’ টানা সাত বছর রাজ্য সরকারের তরফে বেতন না নিলে কীভাবে

‘বেতন নিই না, তাহলে কীভাবে চলে আমার?’ জবাব দিলেন মমতা

কৃষ্ণনগর: লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে নদীয়ার গয়েশপুরে দাঁড়িয়ে নিজের অর্থিক আর্থিক সচ্ছলতার প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সাত বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের বেতন না নিলে কীভাবে চলে তাঁর সংসার, নিজেই সেই সিহাব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘কী সোনা খাব, মুক্ত খাব? এই সব আমার পছন্দ হয় না৷’’

টানা সাত বছর রাজ্য সরকারের তরফে বেতন না নিলে কীভাবে চলে তাঁর জীবন? সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বেতন নিই না আমি৷ গাড়ির তেলের টাকাও নিই না৷ তাহলে বলবেন, আমার কীভাবে চলে? শুনুন, আমি বই লিখি৷ বই লেখার টাকা আমার উপার্যন৷ বই বিক্রির রয়েলটি থেকেই আমার চলে যায়৷ প্রকাশকরা বই বিক্রির ১০ শতাংশ আমাকে দেয়৷ ওই দিয়েই আমার চলে যায়৷ আমার আমার এখন ৮৭টি বই আছে৷’’

এই বছরের বইমেলায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাতটি বই প্রকাশিত হয়েছে৷ যার ফলে, এই মুহূর্তে তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮৭টি৷ চলতি বইমেলার উদ্বোধনের গিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বই লেখার নিরিখে সেঞ্চুরি করার বার্তা দেন৷ বলেন, ‘‘পরের বছরে পটাপট ১৩টা বই লিখে ফেললেই সেঞ্চুরি হয়ে যাবে৷’’ এর আগে একাধিক কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস লিখেছেন তিনি৷ ‘বিপন্ন ভারত’ ৩০০ কপি এবং ‘আমি’, ‘শিশুদোলা’, ‘নামাঞ্জলী সমগ্র’-এর মতো বইগুলি ১০০ কপির বেশি বিক্রি হয় এবারের বই মেলায়৷

তবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেতন না নিলেও বিধায়কদের ভাতা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব গিয়েছে নবান্নে৷ চলতি বছর ২১ জানুয়ারি এই প্রস্তাব পাঠানো হয় বলে খবর৷ বিধানসভার অধিবেশন চলাকালে বিধায়কদের দৈনিক ভাতা ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে এনটাইলমেন্ট কমিটি। রাজ্য সরকারের অর্থ মন্ত্রক সেই প্রস্তাব মঞ্জুর করলে আরও কিছুটা বাড়বে পশ্চিমবঙ্গের বিধায়কদের বেতন। বর্তমানে মাসে বেতন ও ভাতা মিলিয়ে ৮১,৩০০ টাকা পান পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা। দৈনিক ভাতা পান ১০০০ টাকা করে। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করছিলেন বিধায়করা। সেই দাবি মেনে অবশেষে বিধায়কদের মন্ত্রীদের সমান ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করল এনটাইটেলমেন্ট কমিটি। তবে শুধুমাত্র বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ২০০০ টাকা দৈনিক ভাতা পাবেন বিধায়করা। বাকি দিনগুলিতে ১০০০ করেই ভাতা পাবেন তাঁরা। রাজ্য অর্থ মন্ত্রক প্রস্তাবে সায় দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় এই নিয়ে তৃতীয়বার বাড়বে বিধায়কদের বেতন। শেষবার ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বেতন বেড়েছিল রাজ্যের বিধায়কদের।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পুরনো স্যান্ট্রো ছেড়ে নতুন গাড়িতে সওয়ার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সূত্রের খবর, ফোক্সভাগেনের পোলো গাড়িতে চেপেই যাতায়াত করছেন তিনি৷ সম্প্রতি, জানুয়ারিতে  নেতাজি ইনডোরে অনুষ্ঠিত খেলাশ্রী অনুষ্ঠানেই তাঁকে প্রথম দেখা যায় নতুন গাড়িতে চেপে আসতে৷ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কলকাতা ও জেলায় সাধারণ স্যান্ট্রো গাড়িতেই সওয়ার হতেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মূলত, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য এই গাড়ি বদল বলে জানা গিয়েছে৷ প্রায় সাড়ে সাত বছরের মাথায় গাড়ি বদলালেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 2 =