নাগরিক প্রমাণে ব্যর্থ হলে খোয়াতে হবে সব, নয়া গেজেট কেন্দ্রে

নয়াদিল্লি: ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার আগে কেড়ে নেওয়া হবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, চাকরি৷ বন্ধ করে দেওয়া হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট৷ দেশজুড়ে এনআরসির গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আর তাতেই সিঁদুরের মেঘের আশঙ্কা বাড়ছে৷ জানা গিয়েছে, অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন জাতীয় নাগরিকপুঞ্জি আইনে বড়সড় রদবদল ঘটনা হয়৷ ২০০৩ সালে সেই আইন ১৪-র

নয়াদিল্লি: ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার আগে কেড়ে নেওয়া হবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, চাকরি৷ বন্ধ করে দেওয়া হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট৷ দেশজুড়ে এনআরসির গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আর তাতেই সিঁদুরের মেঘের আশঙ্কা বাড়ছে৷

জানা গিয়েছে, অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন জাতীয় নাগরিকপুঞ্জি আইনে বড়সড় রদবদল ঘটনা হয়৷ ২০০৩ সালে সেই আইন ১৪-র ১ ধারায় বলা হয়েছে, সব রাজ্য এনআরসি চালু করতে বাধ্য৷ আর সেই আইনকে সামনে রেখে দেশে এনআরসি চালুর নোটিফিকেশন জারি করেছে মোদি সরকার৷ গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী প্রথম কাজ হল ভোটার কার্ড সংশোধন৷ এর পরের ধাপে রয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করবেন সরকারি কর্মীরা৷ দেশের সমস্ত নাগরিককে একটি করে ফর্ম দেওয়া হবে৷ যেমন হয়েছে অসমে৷ এই প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে৷ চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত৷ পরে রয়েছে এনআরসি চালুর বিষয়টি৷ ভোটার কার্ড সংশোধন থেকে আপনি যদি ডি-ভোটার কি না, তাও বোঝা যাবে৷ এরপর ঠিক হবে আপনাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে কি না৷

২০১৯-এর ৩১ জুলাই এনআরসি আইনে নতুন করে সংশোধনীর প্রস্তাব এনেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ সেখানে বলা হয়নি কোন সাল থেকে বা কোন তারিখ থেকে আপনি ভারতে বসবাসের প্রমাণ দেখালে ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন৷ অসম এনআরসির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত এই সময়সীমা রাখা হয়েছিল, অসম চুক্তি অনুযায়ী৷ সারা দেশের ক্ষেত্রে কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে তা এবারে শীতকালীন অধিবেশনে প্রস্তাব পাস করাবে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷

তবে মনে রাখতে হবে, ডিটেনশান ক্যাম্পে যেতে হলে, আপনি আর জাতীয় নাগরিক থাকবেন না৷ আপনার ভোটার কার্ড আধার কার্ড সবকিছুই কেড়ে নেবে সরকার৷ আপনার হাতে কোনও টাকা দেওয়া হবে না৷ আপনার সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ আপনার চাকরিও খেয়ে দেবে সরকার৷ এমনকী, আপনি কোনও সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন না৷ ছেলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন না৷ এভাবে বন্দিদশায় থাকতে হবে ছ’বছর৷ তারপর সরকার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ বাংলায় এই মুহূর্তে এনআরসি চালু হচ্ছে না বলে আগেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের তরফেও এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 3 =