নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনো সংক্রমণ৷ ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের নিরিখে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে ভারত৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার৷ এবার উদ্বোগ ও আশার আলো জাগিয়ে হটস্পট এলাকাগুলি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর৷
আইসিএমআরের সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, হটস্পট এলাকায় ৩০ শতাংশ বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ কিন্তু, ৩০ শতাংশ বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চিহ্নিত করা যায়নি৷ কারণ হিসাবে আইসিএমআর জানিয়েছে, তাঁদের শরীরে তৈরি হয়েছে এন্টি বডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ আইসিএমআরের তরফে গোটা দেশের ৭০টি জেলায় হটস্পটে এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ সংগ্রহ করা হয় ৩৪ হাজার রক্তের নমুনা৷ সেই নমুনা সংগ্রহ করে এবার বড়সড় সমীক্ষা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর৷ করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ বাসিন্দার কোনও উপসর্গ ছিল না বলেও জাবি করা হয়েছে৷ এই সঙ্গে নিজে থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে শরীর৷
জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে একটি সমীক্ষা শুরু করে আইসিএমআর৷ সেখানে করোনার চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করার জন্য দেশের ৭০টি জেলায় থেকে প্রায় ৩৪ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়৷ সেই সমস্ত নমুনা পরীক্ষা করার পর আইসিএমআর জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে এন্টি বডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ আর তার জেরেই সংক্রমণ হার খুব একটা বেড়েনি৷ হটস্পট এলাকার ৩০% বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের মধ্যে কোন উপসর্গ ছিল না৷ ধাপে ধাপে তাঁদের শরীরের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এন্টি বডি৷ এই সমস্ত রোগীরা নিজেরাও জানতেন না, তাঁরা কোন ভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ কিন্তু শারীরবৃত্তীয় ভাবে তাঁরা নিজেরাই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গিয়েছেন৷ কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমেছে আইসিএমআর৷