icmr
নয়াদিল্লি: কেরলে সংক্রমণ ছড়ানো নিপা ভাইরাসের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ। যেখানে কোভিডের ক্ষেত্রে সেই হার ২ থেকে ৩ শতাংশের কাছাকাছি। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর এমন তথ্য সামনে আনায় আতঙ্ক কার্যত পাহাড়প্রমাণ পর্যায়ে চলে গিয়েছে। রাজ্যের আপাতত একটি জেলায় এই সংক্রমণ ছড়ালেও তা যে খুব তাড়াতাড়ি গোটা কেরলে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তার আশঙ্কাও আছে। সেই প্রেক্ষিতে নিপা ভাইরাসের চিকিৎসায় ভীষণরকমভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে আইসিএমআর।
কেরলে ২০১৮ ও ২০২১ সালে দু’বার আতঙ্ক ছড়িয়েছিল নিপা। দু’দফা মিলিয়ে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখন যাতে ওই পরিস্থিতি আবার না ফিরে আসে তার চেষ্টাই করছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। আইসিএমআর ইতিমধ্যে জানিয়েছে, নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরুর পথে তারা। তবে তার আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। দেশের বাইরে ১৪ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে এইভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং তারা সুস্থ আছেন বলেই খবর। যদিও ভারতে এর ব্যবহার এখনও হয়নি। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়েই এই অ্যান্টিবডি প্রয়োজন।
যদিও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়েই যে সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যাবে এমনটা নয়। এই চিকিৎসা পুরোপুরি কার্যকর হবে, তা এখনও প্রমাণ হয়নি। শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তবে কেরলে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হবে কি না, তা কেরল সরকার ও রোগীর পরিজনের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে আইসিএমআর।