নয়াদিল্লি: লকডাউন গুরুত্ব সহকারে দেখতেই চাইছেন না অনেকে৷ কিন্তু করোনা সংক্রমণের হার যে হারে বাড়ছে, তাতে লকডাউন একমাত্র উপায়৷ তা নাহলে দেশে করোনা প্রথমবিশ্বের দেশগুলোর মতো মহামারীর আকার ধারণ করবে৷ শুধু তাই নয়, চিকিৎসার অভাবে বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হবে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব লভ আগরওয়াল একটি পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব লভ আগরওয়াল জানিয়েছে, একজন আক্রান্তের থেকে এক মাসে ৪০৬ জন আক্রান্ত হতে পারে৷ কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখলে একজনের থেকে মাসে ২.৫ জন আক্রান্ত হতে পারে৷ তাই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা এই মুহূর্তে একমাত্র পথ বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে৷৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রের রিপোর্ট আনুযায়ী ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,৪২১। মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের।
A recent ICMR study shows that if 1 #COVID19 patient doesn't follow lockdown orders or practice social distancing, then the patient can infect 406 people in 30 days: Lav Aggarwal,Joint Secretary,Health Ministry https://t.co/cOk0St5WBx
— ANI (@ANI) April 7, 2020
এদিকে, দুই সপ্তাহ কাটল লকডাউনের। হাতে আছে আরও এক সপ্তাহ। তারপরই নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। লকডাউন শেষ হবে নাকি সময়সীমা বাড়ানো হবে, তা নিয়েই চলছে ঘোর জল্পনা। এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা না পাওয়া গেলেও, শোনা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা চাইছেন, বাড়ানো হোক লকডাউন। ইতিমধ্যেই অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হলে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার লকডাউন বাড়ানোর কথা নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে।