নয়াদিল্লি: অতি সংক্রমণ রুখতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য কড়া লকডাউনের পরামর্শ দিল ICMR। দেশের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী। অবিলম্বে লকডাউনের প্রয়োজন বলেই জানালেন আইসিএমআরের প্রধান। যে সমস্ত জেলাগুলিতে দৈনিক সংক্রমণ ১০% হার বা তার বেশি সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।তাই সেই সমস্ত জেলা গুলিতে কড়া লকডাউনের প্রয়োজন বলে মনে করছে ICMR।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এখন ভারতের তিন-চতুর্থাংশ জেলায় করোনাভাইরাসের পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। এইসব জায়গার মধ্যে রয়েছে নয়াদিল্লি, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুর মত শহর। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে যদি এই জায়গাগুলিতে ইতিমধ্যে লকডাউন কার্যকরী না করা হয় তাহলে সংক্রমণ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো বৃদ্ধি পাবে। সেই কারণে ইচ্ছা না থাকলেও দেশজুড়ে লকডাউন কার্যকরী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছে ICMR। যদিও দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন ICMR প্রধান ডাক্তার বলরাম ভার্গাব। তিনি বলছেন, করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ আসবে এমন ইঙ্গিত অনেক আগে থেকে মিলেছিল কিন্তু সেই অনুযায়ী পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই কারণে দেশের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার এতটা বেড়ে গিয়েছে।
যদিও ভারতের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কেমব্রিজ আশার আলো দেখিয়ে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ভারতে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা কমতে শুরু করবে গোটা দেশজুড়ে। যদিও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির বদল ঘটলেও বেশ কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার থাকবে ঊর্ধ্বমুখী, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে তাদের গবেষণাপত্রে। অনুমান করা হচ্ছে, ভারতের একাধিক রাজ্য যেমন অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে আগামী দুই সপ্তাহেও সংক্রমণের হার থাকবে ঊর্ধ্বমুখী। এর পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কার্যত একই থাকবে বা বাড়তে পারে। তবে গোটা দেশের নিরিখে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমবে বলেই দাবি করা হয়েছে।