নয়াদিল্লি: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। ভারত ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে বিশ্বে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১১ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে কনটেইমেন্টজোন ছাড়া সমস্ত জায়গায় লকডাউন উঠতে শুরু করেছে। আর তাতেই দেশবাসী আরও ভয় পেতে শুরু করেছে। এইভাবে তো করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে।
এই বিষয়ে আইসিএমআর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কনটেইমেন্ট জোনের বাইরে করোনা আক্রান্তের হার মাত্র ০.৭৩ শতাংশ। গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, সেই বিষয়েও পরীক্ষা চালানো হয়েছে। দেশের ৬৫ জেলাতে ব্লাড সিরাম নিয়ে আইসিএমআর পরীক্ষা চালায়। সেখানেই জানা গিয়েছে, গ্রামের থেকে শহরে সংক্রণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি। গ্রামের থেকে শহরে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা ১.০৯ গুন বেশি। আইসসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের মধ্যে বস্তিতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা ১.৮৯ শতাংশ বেশি।
আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি। বৃহস্পতিবার আইসিএমআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গভ বলেন, ভারতে কোনও রকম কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। দ্রুত সংক্রমণ ভারতে যাতে না হয়, সেই দিক থেকে লকডাউন সফল হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। ভারতে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত অনেক বড় দেশ। এখানে জনসংখ্যাও অনেক বেশি। সেই জনসংখ্যার তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণের হার নগন্য বলেও মনে করেন তিনি।
এর আগে বুধবার, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, রাজধানী দিল্লির করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা বেশ উদ্বেগজনক। আরও বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভারতে করোনা সংক্রমণে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে কি না, তা কেবল কেন্দ্রই ঘোষণা করতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, দিল্লিতে অন্তত ৫০ শতাংশ করোনা রোগীর সংক্রমণ কোথা থেকে হয়েছে তা জানা যায়নি। যদিও তার আগেইদিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে কোনও রকম কোনও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়নি।