নয়াদিল্লি: এদেশে লাইট পোস্টের তলায় বসে পড়াশোনা করার বিষয়টি নতুন নয়৷ স্বয়ং বিদ্যাসাগর মশাই বহু বছর আগেই সেই পথে চলেছিলেন৷ ফের সেই রকম একটি ছবি দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এক যুবক এটিএমের মধ্যে বসে পড়াশোনা করছেন। ছবি দেখে বোঝা যায়, তিনি ওই এটিএমে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কর্মরত। কাজের ফাঁকে পড়াশোনা করছিলেন।
সম্প্রতি আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ নিজের টুইটার প্রোফাইলে ছবিটি শেয়ার করেন৷ এই ছবিটি শেয়ার করে অবনীশ শরণ নিচে লেখেন, আগুন যেখানেই থাক, তা জ্বলবেই। অর্থাৎ কাজ করার ইচ্ছে থাকলে, তা করে দেখাতে হবে। পোস্টের সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি৷ তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা নেট দুনিয়ায়৷ সকলেই এমন কাজের প্রশংসা করেন। অনেকে বলেন, নিজের অজান্তেই তিনি অনেককে অনুপ্রাণিত করলেন। তবে ছবিটি কোথাকার তা জানা যায়নি৷ জানা যায়নি যুবকটির পরিচয়ও৷
যদিও এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয় এই পোড়া দেশে৷ যে দেশের বিপুল জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষই বাস করেন দারিদ্র্যসীমার নিচে৷ যাঁদের প্রত্যহ খাবার জোটাতেই দিন কেটে যায়। সেখানে পড়াশোনা তো বাতুলতা৷ সুতরাং এরকম ঘটনা এর আগেও সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে জেএনইউ-র এক নিরাপত্তা রক্ষীর একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবর নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। তাঁর নাম ছিল রামজল মিনা৷ জানা যায়, আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ২০০৪ সালে স্নাতক স্তরেই তাঁকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কাজ খুঁজতে হয়৷ রাজস্থানের বাসিন্দা রামজলের পড়াশোনা চলাকালীনই ২০০৩ সালে বিয়ে হয়ে যায়। পরে সংসারের চাপে তাঁকে কাজ শুরু করতে হয়।
সেসময় দিন মজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে তিনি জেএনইউ-র নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কাজ পান। যার পাঁচ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেই তিনি পাশ করেন৷ আবার তাঁর পড়াশোনার যাত্রাপথ শুরু হয়। মনের জেদ ও অদম্য ইচ্ছেশক্তির ফলে তিনি ফের নিজের পড়াশোনা শুরু করতে সমর্থ হন।