পাটনা: রূপে যে কোনও বলি তারকাকে টেক্কা দেন তিনি৷ তাঁর জ্ঞান সাগরে ডুব দিলে অনেকেই হয়তো খেই হারাবে৷ একদিকে বইয়ের পাতায় তাঁর অবাধ বিচরণ, অন্যদিকে নেট দুনিয়ায় সমান সাবলীল তিনি৷ তাঁর প্রেম কাহিনীও রূপকথার চেয়ে কিছু কম নয়৷ তিনি কোনও তারকা নন৷ বিহারের আইপিএস অফিসার নভজোৎ সিমি৷ ২০১৭ ব্যাচের আইপিএস নভজোৎ এখন পাটনার ডিএসপি৷
আরও পড়ুন- বিশ্ব দরবারে গাছের শহর হিসেবে স্বীকৃত এই রাজ্যের রাজধানী
নভজোতের বাবা ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অধিকর্তা৷ মা হলেন গৃহিনী৷ পঞ্জাবের তফশিলি পরিবারের সন্তান নভোজোৎ৷ তফশিলি হওয়ায় ছোট থেকেই তিনি বৈষম্য দেখেছেন৷ বন্ধু-বান্ধব বা পাড়া প্রতিবেশীদের কাছেও নানা কথাও শুনতে হয়েছে৷ তাই ছোট থেকেই সরকারি উচ্চপদে যাওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেন নভজোৎ৷ তবে প্রথমেই আইপিএস হননি তিনি৷ তাঁর আগে ছিলেন অন্য পেশায়৷
পঞ্চাবেরই একটি বেসরকারি স্কুল থেকে পাঠ শেষ করার পর লুধিয়ানা বাবা যশবন্ত সিং ডেন্টাল কলেজ থেকে স্নাতন হন নভজোৎ৷ পাশ করার পর দাঁতের ডাক্তারি শুরু করেন তিনি৷ কিন্তু মনের ভিতরে সরকারি উচ্চ পদে যাওয়ার স্বপ্নটা হারাতে দেননি৷ চিকিৎসকের কাজ করতে করতেই শুরু করেন ইউপিএসসি’র প্রস্তুতি৷ দিল্লিতে গিয়ে টিউশনও নেন৷ তবে সাফল্য প্রথমবারেই ধরা দেয়নি৷ ২০১৬ সালে ডাক্তারি ছেড়ে তিনি পঞ্জাব সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন৷ পরের বছর ইউপিএসসি-তে বাজিমাত করেন৷ তাঁর সর্বভারতীয় ব়্যাঙ্ক ছিল ৭৩৪৷ এর পর আইপিএস-এর চাকরি নিয়ে তিনি চলে আসেন পাটনায়৷
আরও পড়ুন- ৮০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল দেখে হাসপাতালে বৃদ্ধ
তাঁর প্রেম কাহিনীও কম রোমাঞ্চকর নয়৷ ২০১৫ সালের আইপিএস অফিসার তুষার সিঙ্গলার প্রেমে পড়েন নভজোৎ৷ কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় বিয়ে করার ফুরসতটুকুও পাচ্ছিলেন না তাঁরা৷ অবশেষে পাত্রের দরবারে এসে পৌঁছয় কনের রথ৷ ৫৬৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে তিনি এসে পৌঁছন পশ্চিমবাংলার উলুবেড়িয়াতে৷ সেখানেই কর্মরত আইএএস অফিসার তুষার সিঙ্গলা৷ তাঁর দফতরেই বসে বিয়ের আসর৷ ১৪ ফেব্রুয়ারির প্রেম দিবসে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন এই লাভ বার্ডস৷ তবে সামাজিক বিয়ের সময় সুযোগ এখন নেই৷ ভোট পর্ব মিটলে ধুমধাম করেই হবে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান৷