নয়াদিল্লি: গালওয়ান উপত্যকা থেকে পিছু হঠলেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তের ফিঙ্গার পয়েন্ট থেকে সেনা সরাতে নারাজ বেজিং৷ এই ফিঙ্গার এলাকাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায়৷ ড্রাগন শক্তি প্রতিহত করতে সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত৷ এই উত্তেজনার মাঝেই ভারতের হাতে আসছে অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান৷ এই যুদ্ধবিমানকে আরও শক্তিশালী করতে এর সঙ্গে ঘাতক হ্যামার মিসাইল জুড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ খুব শীঘ্রই ফ্রান্স থেকে ভারতের হাতে এসে পৌঁছবে এই মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র৷
বায়ু থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হ্যামার (হাইলি এজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ)৷ ৬০-৭৯ কিলোমিটার দূরে থাকা যে কোও লক্ষ্যবস্তুতে অব্যর্থভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এটি৷ পূর্ব লাদাখের উঁচু পার্বত্য এলাকা হোক বা সমতল, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহজেই শত্রু শিবিরের বাঙ্কার বা সেনাঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব৷ প্রথমিকভাবে ফরাসি বায়ুসেনা ও নৌসেনাবাহিনীর জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছিল সাজেম (স্যাফরন গ্রুপ)৷ ২০০৭ সালে প্যারিসে এয়ার শো চলার সময় প্রথম এএএসএম পরিবারের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচিত করা হয়েছিল৷ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবু ধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও সম্মেলন (আইডিইএক্স) চলাকালীন এর অস্ত্র ব্যবস্থাও প্রদর্শিত হয়েছিল৷
সম্প্রতি ভারতীয় বাহিনীকে জরুরি অস্ত্র কেনার ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র৷ এর পরেই রাফাল যুদ্ধবিমানে হ্যামার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়৷ জরুরি ভিত্তিতেই ফ্রান্সের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে দিল্লি৷ খুব শীঘ্রই তা ভারতে পাঠাতে চলেছে ফ্রান্স৷ এদিকে, আগামী ২৯ জুলাই ভারতের হাতে আসতে চলেছে পাঁচটি রাফাল বিমান৷ এর পরই রাফালের সঙ্গে যুক্ত হবে ক্ষেপণাস্ত্র হ্যামার৷ একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷ স্থায়ী কিংবা চলমান লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নিশানা করতে পারে এটি৷ এএএসএম হ্যামার মিসাইলে আছে গাইডেন্স কিট এবং রেঞ্জ এক্সটেনশন কিট৷ এই কিটগুলিতে স্মার্ট বম্ব ইউনিট (এসবিইউ)-৩৮, এসবিইউ-৬৪ এবং এসবিইউ-৫৪ সহ লাগানো হয়েছে এমকে৮২ ওয়ারহেডস৷