নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর নির্মিত ছবি বা ওয়েব সিরিজগুলিতে একাধিক বিষয়ে আপত্তি ওঠায় এই ধরণের ছবি মুক্তির আগে তাদের অনুমতি নিতে হবে বলে গত মাসেই জানিয়ে দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এবার আপত্তি উঠল বিমান বাহিনীর ওপর নির্মিত ছবি নিয়ে। এই ধরণের কিছু ছবিতে আপত্তি জানিয়ে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে চিঠি পাঠালো ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স (আইএএফ)।
বুধবার একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটদের জীবনী অবলম্বনে বহু প্রত্যাশিত বায়োপিক 'গুঞ্জন সাক্সেনা: দ কারগিল গার্ল'। বাস্তবে মহিলা পাইলট গুঞ্জন সাক্সেনার নামেই মূল চরিত্র। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ছবিতে বাহিনীকে যেভাবে দেখানো হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় বিমান বাহিনী। আইএএফ এখন কয়েকটি ছবির কিছু দৃশ্যে আপত্তি জানিয়ে এবং বাহিনীর “অসঙ্গতিপূর্ণ নেতিবাচক চিত্রায়ন” বলে উল্লেখ করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্মে অ্যান্ড সার্টিফিকেশনকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছে।
সেন্সর বোর্ড এবং নেটফ্লিক্স ও ধর্মা প্রোডাকশনের উদ্দেশ্যে দেওয়া চিঠিতে বিমান বাহিনী বলেছে যে তাদের প্রাথমিক বোঝাপড়া অনুযায়ী “ ধর্মা প্রোডাকশনস চলচ্চিত্রটি সত্যতা সহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে এবং আইএএফ অফিসারদের পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রেরণা জাগাতে সহায়তা করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত হয়েছিল।” ছবিটির ট্রেলার মুক্তির দিনই নৌবাহিনী লক্ষ্য করে যে সেখানে কিছু দৃশ্য ও ওই পাইলটের উদ্দেশ্যে বলা কিছু সংলাপে অসঙ্গতি রয়েছে।
এএনআই-এর তথ্য অনুসারে ছবিতে আইএএফ-এর লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে “এক্স-ফিট লেফটুন গুঞ্জন সাক্সেনা”র চরিত্রকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে ধর্ম প্রোডাকশনের মত সংস্থা এমন কিছু পরিস্থিতি উপস্থাপন করেছে যা বিভ্রান্তিকর এবং বিশেষত আইএএফ-র মহিলাদের বিরুদ্ধে একটি অনুপযুক্ত কাজের সংস্কৃতি তুলে ধরেছে।”
প্রসঙ্গত, এই গল্পটি পাইলট সাক্সেনাকে কেন্দ্র করে, যিনি প্রথম ভারতীয় বিমান বাহিনীর মহিলা পাইলট এবং ১৯৯৯ এর কারগিল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সাক্সেনাই প্রথম মহিলা পাইলট যিনি ১৯৯৯ এর কার্গিল যুদ্ধে আহত সেনাদের উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাঁর এই দৃষ্টান্তমূলক সাহসিকতার জন্য তাকে সূর্যবির সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হয়।