শরীরে আরও বাসা বাধতে পারবে না করোনা! নয়া আবিষ্কার অধ্যাপিকা ললিতার

শরীরে আরও বাসা বাধতে পারবে না করোনা! নয়া আবিষ্কার অধ্যাপিকা ললিতার

8554cb910f33d633513432ccc504a240

হায়দ্রাবাদ: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে ব্যাস্ত গোটিবিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গবেষকরা। কিন্তু এই নোভেল করোনার ক্রমাগত রূপান্তর কোনো গবেষণাকেই নির্দিষ্ট দিশা দেখাতে পারছেনা। এক্ষেত্রে যদি রূপান্তর প্রক্রিয়াটিকেই প্রতিহত করা যায় তাহলে কোভিড-১৯ এর বিস্তার সহজেই রোধ করা সম্ভব। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় সাফল্য অর্জন করল ভারত।

হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার অধ্যাপিকা ললিতা গুরুপ্রসাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার নতুন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম অ্যান্টিবডিগুলির পরিকল্পনায় সহায়তা করতে পারে। তিনি মারণ করোনা ভাইরাসের সেই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি সনাক্ত করেছেন যার দ্বারা ভাইরাসটি নিজের রূপান্তর ঘটিয়ে মানুষের শরীরে সংক্রমণ বাড়াতে সক্ষম হয়।

'স্পাইক' নামক প্রোটিনের জন্যই সারস করোনাভাইরাস  মুকুটের মত দেখতে হয়। এই স্পাইক প্রোটিনই মানুষের এসিই -২ (এনজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম -২  রিসেপ্টারের সাথে যুক্ত হয়। ঠিক এইক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হ'ল রূপান্তরিত হওয়ার সময় সারস করোনভাইরাস জিনোম এবং স্পাইক প্রোটিনগুলিতে কী কী পরিবর্তন ঘটে যা ওই ভাইরাসটিকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে সাহায্য করে?

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ বাদুড়, মানুষ ও মানুষের সারস করোনা ভাইরাস -২ থেকে বিভিন্ন সারস করোন ভাইরাসগুলির জিনোম এবং স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাসগুলি বিশদে বিশ্লেষণ করেই গবেষণায় একটা নির্দিষ্ট দিশা খুঁজে পেয়েছেন। তাঁর গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে একমাত্র সারস করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাসের নির্দিষ্ট তিনটি অঞ্চল এবং একটি বিচ্ছিন্ন সেতু রয়েছে যার মাধ্যমে এটি মানুষের এসিই -২ রিসেপ্টরে সঙ্গে  যুক্ত হতে সক্ষম হয়। অথচ এই বিন্যাসক্রম বাদুড়ের সারস করোনাভাইরাসগুলিতে অনুপস্থিত যা মানুষের দেহে  সংক্রমণ ঘটাতে পারে না৷

এই গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে গুরুপ্রসাদ ভবিষ্যতের জন্য বড়সড় আশংকা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গবেষণায় বাদুড়জনিত সারস করোনাভাইরাসের আরও বেশ কয়েকটি জেনোম-এর খোঁজ মিলেছে যা শেষ পর্যন্ত মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আর ভবিষ্যতে এদেরই কোনো একটি আবারও এক ভয়াবহ সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *