হায়দরাবাদ: সবুজায়নের জন্য বিশ্বের দরবারে স্বীকৃত হাযদরাবাদ৷ সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার মিশনের সঙ্গে কাজ করা সংস্থা আরবার ডে ফাউন্ডেশন হায়দরাবাদকে ২০২০ সালের জন্য বর্ষসেরা ‘গাছের শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশের মধ্যে হায়দরাবাদই এই স্বীকৃতি পেয়েছে। আর এই স্বীকৃতি এমন দিনে এসেছে, যার ঠিক আগের দিন ছিল এক কোটি গাছের প্রার্থনা প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের জন্মদিন উপলক্ষে এই প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছিল৷
বিশ্বের দরবারে হায়দরাবাদ শহরের এই স্বীকৃতি এখানকার অনেক রাজ্য ও শহরকে সবুজায়নের লক্ষ্যে উদ্ধুদ্ধ করতে সাহায্য করবে৷ সবুজায়নের লক্ষ্যে বিগত বহু বছর পরিবেশবিদরা লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন এবং যাচ্ছেন। কিন্তু পরিবেশবিদের সতর্কবাণীকে কর্ণপাত না করে সবুজ ধ্বংস করায় পরিবেশ দূষণের মতো দানব থাবা বসিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রিন পিস নামক এক সংস্থার করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী, শুধুমাত্র পরিবেশ দূষণের জন্যই দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং লখনউতে প্রায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই সংস্থারই করা আরও একটি সমীক্ষা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা মারাত্মক৷ ওই সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এই ছয় শহরে দূষণের ফলে হওয়া রোগের চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আন্তর্জাতিক আঙিনায় পারেশ দূষণে ভারত আবার ৬৭ দেশের মধ্যে অন্যতম৷
চিনের সবুজায়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে গাছ লাগানোয় প্রতিদিন ২৫টন কার্বন ডাই অক্সাইড পরিষ্কার হচ্ছে এবং ৬০ কিলো অক্সিজেন বাতাসে মিশছে। চিনের এই সবুজায়ন প্রকল্প খুবই সফল। দেশের ২১ শতাংশ ভৌগলিক এলাকাকে ৫২ শতাংশ সবুজ করে ফেলেছে কোস্টারিকা। একই ভাবে ব্রাজিল দেশের ৬০ শতাংশ এলাকাকে সবুজে ঢেকে ফেলেছে। হায়দারবাদের সাফল্য সারা দেশের ছোট বড় সব শহর, মফস্বলকে যদি সবুজায়নে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, তা হলে এর থেকে ভালো আর বোধহয় কিছুই হয় না।