লখনউ: স্ত্রী মুণ্ডু হাতে নিয়ে এক ব্যক্তি সোজা হাজির হলেন থানায়৷ সেখানেই গাইতে শুরু করলেন জাতীয় সঙ্গীত৷ এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের জাহাঙ্গিরবাদ থানা এলাকায় বাহাদুরপুর গ্রামে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে৷ তারপর তাঁর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় আত্মসমর্পন করেন৷ পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, জমি জমা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল৷ তার জেরেই ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছে৷ তবে ওই মানসিক স্থিতাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে এক ব্যক্তি বেশ কয়েকজন শিশু ও মহিলাকে বন্দি করে রাখেন৷ ১০ ঘণ্টার অভিযানে অক্ষত অবস্থায় সমস্ত শিশু ও মহিলাকে উদ্ধার করে৷ বিশেষ কমান্ডো বাহিনীর গুলিতে অপহরণকারীর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়৷ এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, একের পর এক চমক উঠে আসতে থাকে৷ জানা যায়, অপহরণকারীর বিরুদ্ধে আগেও খুন ও ডাকাতির অভিযোগ ছিল৷ জেলে থাকার সময় থেকেই শিশুদের অপহরণ করার পরিকল্পনা শুরু করতে থাকেন৷
অপহরণকারীর মোবাইল ঘেঁটে জানা যায়, সেখানে বন্দি শিশুদের একাধিক ছবি রয়েছে৷ শুধু সেখানেই থেমে নেই, তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানান, ওই ব্যক্তি রাশিয়ায় একটি শিশুদের অপহরণের ঘটনার আদলে প্রতিবেশী শিশুদের অপহরণ করার চেষ্টা করেন৷ এই বিষয়ে ওই ব্যক্তির স্ত্রী তাঁকে সাহায্য করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে৷ তবে এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন৷