নয়াদিল্লি: আন্দোলনরত কৃষকদের লালকেল্লা অভিযানের পর আর কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিল্লি পুলিশ। সেই কারণে সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজীপুর সীমান্তকে এমন ভাবে নিরাপত্তাকে মুড়ে ফেলা হয়েছে যে দেখে মনে হবে সেটি কোন আন্তর্জাতিক সীমান্ত! ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেডের পরে রাস্তায় পুঁতে রাখা হয়েছে পেরেক, ব্যারিকেডের পেছনে দাঁড় করানো রয়েছে পুলিশের গাড়ি। কৃষকরা যাতে কোনোভাবেই আর সীমান্ত টপকে দিল্লিতে ঢুকতে না পারেন তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এর অন্যতম কারণ, ফের একবার কৃষকদের হুঁশিয়ারি।
আগামী শনিবার দেশজুড়ে চাক্কা জ্যাম করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতাকারী কৃষকরা। এর পাশাপাশি আরও বড় আন্দোলনের হুশিয়ারি ও ইতিমধ্যেই দিয়েছে প্রতিবাদী কৃষক সংগঠন গুলো। সেই কারণেই এই ধরনের বৃহৎ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দিল্লি পুলিশ এবং প্রশাসন। ব্যাপক নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লির ওই তিন সীমান্তকে। ইতিমধ্যে লালকেল্লা ঘটনার পরে এইসব সীমান্তে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন যখন নিরাপত্তার’ এই নমুনার ছবি ধরা পড়ছে তখন বিরোধীদের বক্তব্য, কৃষকদের আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য যে পন্থা কেন্দ্রীয় সরকারের পুলিশ অবলম্বন করেছে তা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকানোর জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যদিও কৃষকদের দিক থেকে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কৃষক আন্দোলন শিবিরের ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। তারা এখন নির্বিকার, শুধুমাত্র বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মূলত লালকেল্লা অভিযানের পর বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই অভিযানের পরবর্তী ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বেশকিছু আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও লালকেল্লা অভিযান নিয়ে কৃষকদের বক্তব্য যে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মূলত বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথাতেই লালকেল্লা অভিযান হয়। যে সংঘর্ষের চিত্র ধরা পড়েছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজধানীতে সেই চিত্র কৃষকরা কেউই মানতে পারছেন না।