কীভাবে রুখতে হবে পড়ুয়াদের কণ্ঠ? ক্ষুব্ধ ‘মানব’-মন্ত্রীর বৈঠকে চর্চা!

কীভাবে রুখতে হবে পড়ুয়াদের কণ্ঠ? ক্ষুব্ধ ‘মানব’-মন্ত্রীর বৈঠকে চর্চা!

নয়াদিল্লি: হামলায় আহত পড়ুয়াদের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করা উচিত ছিল৷ এমনকি, তাঁদের পাশে থাকার দরকার ছিল বলেই মত কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের৷ রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশাসনের যে অসংবেদনশীলতা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মানব সম্পদ উন্নয়ন (এইচআরডি) মন্ত্রক৷ সোমবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) কর্মকর্তাদের কাছে সেই ‘অসন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রীকের আধিকারিকরা৷

মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া এবং পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দমনের পরামর্শ দিয়েছিল৷ কিন্তু তা মানতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মন্ত্রকের পরামর্শ মানতে চায়নি জেএনইউ কর্তৃপক্ষ৷ বরং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷’’

সোমবার জেএনইউ-এ হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং মানবসম্পদ উন্নয়দ মন্ত্রকের  উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহ- উপাচার্য চিন্তামণি মহাপাত্র, রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার, রেক্টর রানা প্রতাপ সিং এবং প্রক্টর ধনঞ্জয় সিং৷ উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে৷

বৈঠকে মন্ত্রকের কর্তারা জানতে পারেন, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ এইমসে আহত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে যাননি৷ এমনকি হাসপাতালের আধিকারিকদের কাছ থেকেও তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেননি৷ এরপরই মন্ত্রক কর্তারা জেএনইউ প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল৷ পড়ুয়াদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া অবশ্যই উচিত ছিল৷

বৈঠক প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ তিনি বৈঠক প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু না বললেও জানিয়েছেন, “জেএনইউ দেশের একটি অন্যতম নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ আমরা নিশ্চিত সেই গরিমা বজায় থাকবার৷” অন্যদিকে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার স্থান৷ তা রাজনীতির জায়গা নয়৷ ফলে হামলার ঘটনায় যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কখনই রাজনীতির আড্ডায় পরিণত হতে দেওয়া হবে না৷”

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় ঘটনাকে করা হতে সামলেছেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার৷ ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার আশ্বাস দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *