নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আসার পর তা কী ভাবে বিতরণ করা হবে, তার উদ্যোগ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুরু হয়েছে রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা। আলোচনা করোনা ভ্যাকসিন বাজারে এলে তা কাদের আগে দেওয়া হবে, তা নিয়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে সংসদে জানিয়েছেন, ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক বা ই-ভিন পদ্ধতির মাধ্যমে টিকাকরণের কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থেকে জাতীয় পর্যায়ে। সেই পদ্ধতি অবলম্বন করেই ২৫ হাজার কোল্ড চেইনের মাধ্যমে দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় করোনার ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।
ভারতে করোনা ভ্যাকসিন কবে আসবে, এখনও জানা যায়নি তার কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ। তবে কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ধরেও নেওয়া হয়, আগামী বছরের প্রথমের দিকে সেগুলিরই কোনোটি এপ্রিলের মধ্যে বাজারে চলে আসবে, সে ক্ষেত্রে তার পর্যাপ্ত উৎপাদনই সব থেকে বড়ো বিষয়।
এটা নির্ভর করছে কোন সংস্থা বা ল্যাবরেটরির কাজ কত তাড়াতাড়ি এগচ্ছে, তার ওপর। এই ভ্যাকসিনের প্রথম ১০ কোটি ডোজ কোথায় এবং কী ভাবে উৎপাদিত হবে, সেটা সরকারের সঙ্গে সংস্থার চুক্তি মতোই এগিয়ে যেতে পারে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ ভারতে তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। ভারতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া অক্টোবর মাসে সিরামেরই তৈরি আমেরিকার নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিনেরও হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত করোনার ৩০টি ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। টিকাকরণ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই নিজের মতো করে একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে ভারতের মতো বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে এ ব্যাপারে একাধিক পদ্ধতির কথা ভাবতে হবে।
প্রাথমিক ভাবে বয়ষ্ক এবং যাদের অন্যান্য রোগ রয়েছে, তাঁরাই অগ্রাধিকার পাবে বলেই জানা গিয়েছে। এ ছাড়া সে ক্ষেত্রে পুলিশ, পুরসভার কর্মচারী এবং নার্স, চিকিৎসা কর্মী, চিকিৎসকদের মতো করোনার বিরুদ্ধে প্রথমসারির কর্মীদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে। যেহেতু তাঁদের সুস্থতার সঙ্গে সমাজের বৃহত্তর অংশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।